জাফরাবাদে পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। ধুলিয়ানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে কিনা সেই মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিন রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি সৌমেন সেন জানিয়েছেন, প্রতিটি জেলাতেই কম সংখ্যক পুলিশকর্মী রয়েছে। মুর্শিদাবাদেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আদালতের বক্তব্য, পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলে ধুলিয়ানে এরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হত না।
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, এই একই পরিস্থিতি গোটা দেশেই বর্তমান। তা না হলে পহেলগামের ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যু হত না। এই বিষয় একই মত পোষণ করেছেন বিচারপতি সৌমেন সেন। তবে তাঁর বক্তব্য, এখানকার কথা ভাবাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে রাজ্যের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্ত ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ তোলা হয়। বিচারপতি সেন অবশ্য বলেন, ক্ষতিপূরণের প্রকল্প অনুসারে রাজ্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কিন্তু সকলের কাছে এই ক্ষতিপূরণ যথাযথ মনে হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে তা যথেষ্ট নাও মনে হতে পারে। অন্যদিকে, রাজ্যের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আদালত সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছে যে প্রশাসন ভালো কাজ করেছে।
কেন্দ্রের আইনজীবীর বক্তব্য, এনআইএ এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত। কেবল আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এখনও অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশই বহাল থাকবে। সূত্র অনুযায়ী, ৩১ জুলাই পরবর্তী শুনানি। এরই মধ্যে এদিন নিহত হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা মামলার দায়িত্বে থাকা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আগেই সরে এসেছিলেন। তাই এই মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত গিয়েছে। এবার তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কোন বেঞ্চে শুনানি হবে।