নির্বাচনের কাজে 'বেনিয়ম', সাসপেন্ড কাকদ্বীপের সরকারি আধিকারিক
প্রতিদিন | ১৭ মে ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনের কাজে অনৈতিক উপায় অবলম্বনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভা ক্ষেত্রের এক সরকারি কর্মীকে সাসপেন্ড করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, জেলাশাসকের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে অরুণ গড়াই নামে ওই ব্যক্তিকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
অভিযোগ, কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের জয়েন্ট বিডিও-র অ্যাকাউন্টে নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন অভিযুক্ত। অনৈতিক উপায়ে একাধিক ফর্ম ও তথ্যের বিকৃতি ঘটান তিনি। দুর্নীতির পর্দাফাঁসের পরই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই প্রথমবার নয়। এর আগে একাধিকবার ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে নানারকম বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তবে এবার সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে টিপ্পনি কাটতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, “রাজ্যে এমন অনেক অসৎ আধিকারিক রয়েছেন। সকলকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তবে রাজ্যে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব।”
উল্লেখ্য, তৃণমূলই প্রথম ভোটার তালিকার কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলে, ভিনরাজ্যের ‘ভূতুড়ে’ ভোটারদের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। এছাড়া একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম নিয়ে যে সমস্যা থাকছে, তা চিহ্নিত করে প্রথম তৃণমূলই। এনিয়ে সংসদেও সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। বারবার আলোচনার প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় প্রতিবাদও দেখান তাঁরা। এ রাজ্যের শাসকদলের চাপে পড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের পথে হাঁটে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তালিকা সংশোধন হবে বলে আশ্বাস দেন কমিশনের কর্তারা।