এই সময়: এন্টালিতে ট্যাক্সি থেকে আড়াই কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের কনস্টেবল মিন্টু সরকার। তিনি নিজের সোর্স–নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকা গায়েবের চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
ডাকাতির ঘটনায় তাঁকে জেরা করে কিছু দিন আগে আরও কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু টাকাও উদ্ধার হয়েছে।
এসটিএফের কনস্টেবল হওয়ার সুবাদে গোয়েন্দাদের আটঘাট ভালোই জানতেন মিন্টু। পুলিশের দাবি, কলকাতা পুলিশের কোনও সিস্টেম তিনি ব্যবহার করেননি। কারণ, তাতে সন্দেহ হতে পারত।
ব্যক্তিগত সোর্স তৈরি করে টাকা অন্য জায়গায় সরিয়েছেন। আড়াই কোটি টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ধৃত বিভিন্ন জনের বাড়ি থেকে। ওই কনস্টেবলের বাড়ি থেকে অবশ্য কোনও টাকা মেলেনি।
মিন্টু–সহ মোট দশ জন এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু খোওয়া যাওয়া আরও দেড় কোটি কোথায়, তার হদিশ এখনও মেলেনি। কোনও বেআইনি ব্যবসা বা অন্য কোনও মাধ্যমে ওই টাকা সাইফন করা হয়েছে কি না, খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
তবে খোদ এসটিএফের কনস্টেবল গ্রেপ্তার হওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে লালবাজারের। লালবাজারের এক কর্তার যদিও দাবি, ‘এর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বিভাগের কোনও যোগ নেই। সব প্রফেশনেই এমন ব্যক্তি থাকতে পারেন। ডাকাতির প্ল্যানিংয়ে যুক্ত থাকার কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গত ৫ মে দুই বৈদেশিক মুদ্রা সংস্থার কর্মী আড়াই কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন ট্যাক্সিতে চেপে। মাঝপথে ট্যাক্সি থামিয়ে দু’জন জোর করে ওঠে। এর পরে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আড়াই কোটি টাকা ডাকাতি করে চম্পট দেয়। ওই ঘটনায় ঋজু হাজরা নামে বৈদেশিক মুদ্রা সংস্থার এক কর্মী–সহ মোট ১০ জন এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন।