সামনেই বর্ষাকাল। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর পাশাপাশি অতিবৃষ্টির ফলে বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে। প্রায় প্রতি বছরই পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে চলতি গ্রীষ্মে কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও থাকছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলের একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণেই এবার বর্ষার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের ব্লকে ব্লকে শনিবার দুর্যোগ মোকাবিলার মহড়া দিল জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘সামনেই বর্ষার মরসুম। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্ভবনা রয়েছে। সেই কথা মাথা রেখেই আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই জেলার উপকূল এলাকার পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে চলছে মক ড্রিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এলে কী কী করণীয় তা মহড়ার মধ্যমে এলাকার মানুষ থেকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।’
বিপর্যয় মোকাবিলার সময় কী কী করা উচিত, তার হাতেকলমে এলাকাবাসীকে প্রশিক্ষণ দিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। এদিন দিঘাতেও জরুরি মহড়া হয়। মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের এনডিআরএফ, স্বাস্থ্য দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর-সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সেন্টারে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল থেকেই দিঘায় এই মহড়া চলে। দিঘার সমুদ্র উপকূলে এই মহড়া দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরাও।
প্লাবিত এলাকার মানুষদের কী ভাবে উদ্ধার করা হবে, তার মহড়া করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, নদী-বন্যার তুলনায় সমুদ্রের বন্যা আরও ভয়াবহ। সমুদ্রের জল বাড়তে থাকলে তা খুব কম সময়েই বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই রকম অবস্থার মধ্যে থেকে মানুষদের উদ্ধার করা নিয়েই এই মহড়া আয়োজিত হয়েছে।