• চিরসখা হে... এগারোর কন্যা অকালমৃত, লঞ্চ থেকে হাতে হাত ধরে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দম্পতির!
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ মে ২০২৫
  • দেবব্রত ঘোষ: মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বহুদিন ধরেই। সেই অবসাদ চরম আকার নিল শনিবার সকালে। হাতে হাত ধরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন দম্পত্তি। তবে লঞ্চের মানুষজনের তত্পরতায় রক্ষা পেলেন ওই দম্পতি। শনিবার সকাল তখন প্রায় সাড়ে ছটা। রোজকার মতো সালকিয়ার বাঁধাঘাট থেকে ভূতল পরিবহনের লঞ্চ এমভি সোনারবাংলা কলকাতার আহিরিটোলা যাবার জন্য যাত্রা করে। সেই লঞ্চে ওঠেন এক দম্পতি।

    লঞ্চ মাঝগঙ্গায় এলে দুজনে একসাথে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের কর্মীরা গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। তৎপরতার সঙ্গে সেফটি টায়ারের সাহায্যে জীবিত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিস। প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় দুজনের।

    পুলিস সূত্রে জানা গেছে লিলুয়া ভট্টনগরের বাসিন্দা ওই দম্পতির একমাত্র কন্যা মারা যান কিডনির অসুখে। মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দুজনে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে  বিবাদ দলছিল। সে কারণেই তাঁরা মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

    প্রত্যক্ষদর্শী গৌতম চক্রবর্তী বলেন, ওই দম্পত্তি লঞ্চের কিনারায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। একে অপরের হাত ধরেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। এমনকি জলে পড়ে ভেসে যাওয়ার পরও একে অপরের হাত ছাড়েননি। পরে লঞ্চের কর্মীরা টায়ার ফেলে তাদের উদ্ধার করেন।

    উদ্ধারকারী কৃষ্ণ পাল বলেন, সাড়ে ছটার পরে লঞ্চটা ওপারে যাচ্ছিল আহিরিটোলায়। যাওয়ার পর মাঝ গঙ্গায় এক মহিলা ও তার স্বামী গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। তার পর লঞ্চের স্টাফ ও আমি  জলে ঝাঁপ দিয়ে ওদের তুলে আনি। তারপর তাদের লঞ্চঘাটে আনা হয়। ওঁরা বলছেন ওঁদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। তাই এরকম করেছেন। ওদের একটা ১১ বছরের মেয়ে ছিল। সেও মারা গিয়েছে কিডনি নষ্ট হয়ে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)