• বাগবাজারের নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটে প্রৌঢ়ের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার, খাস কলকাতায় আলোড়ন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মে ২০২৫
  • খাস কলকাতায় রহস্যমৃত্যুর পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর কলকাতার বাগবাজারের নিবেদিতা লেনে নির্মীয়মাণ বহুতলের নীচ থেকে এক প্রৌঢ়ের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা?‌ এই প্রশ্ন নিয়ে উত্তাল শনিবারের বারবেলা। নিজেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি বলেও চাউর হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শ্যামপুকুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। তবে কে বা কারা যুক্ত?‌ তদন্তে পুলিশ।

    এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাগবাজার এলাকার নিবেদিতা লেনের একটি নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের নীচের ফাঁকা জায়গা থেকে প্রৌঢ়ের দেহটি উদ্ধার হয়। এখনও ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা তখন ওই ফ্ল্যাটের সামনে দিয়েই যাচ্ছিলেন। নাকে পোড়া গন্ধ আসে। এই আবহে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন একজন পড়ে আছেন। আর ধোঁয়া বের হচ্ছে। তখন থেকেই শুরু হয় হইচই। খবর দেওয়া হয় শ্যামপুকুর থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক পুলিশের অনুমান, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় খুনের পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা যুক্ত সেটা এখনও জানা যায়নি। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সকলে।


    অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নিবেদিতা লেনে রয়েছে পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাট। তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাটের কাজ চলছে। যেখানে এখনও কোনও বাসিন্দারা আসেননি। ওই দুই ফ্ল্যাটের ফাঁকা অংশে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়কে জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশ খবর দেন। মূল গেটে তালা দেওয়া ছিল। সেক্ষেত্রে কেমন করে ওই প্রৌঢ় এবং দুষ্কৃতীরা ভিতরে প্রবেশ করল?‌ প্রৌঢ় নিজেই এখানে এসেছেন, নাকি তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে?‌ এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চলছে। যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর পরিচয়–সহ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।

    এছাড়া এই ঘটনার আগে শুক্রবার দুপুরে দমদম ক্যান্টনমেন্টের এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন জ্যোতিনগর এলাকায় প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটে। সেখানে বস্তাবন্দি অবস্থায় মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত সেটাও স্পষ্ট নয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্য বস্তাবন্দি দেহ ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই তরুণীকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। তার মধ্যেই বাগবাজার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)