• চাকরিহারাদের অবস্থান মঞ্চে হাজির প্রতীকী রবীন্দ্রনাথ! পুলিশকে দিলেন বার্তা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মে ২০২৫
  • অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া অযোগ্যদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যারা এই টাকা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিগুলি তুলে গত বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় সল্টলেকের বিকাশ ভবনে। বিকাশ ভবন অভিযানে নামে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের অধিকার মঞ্চ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। আবার সন্ধ্যায় সরকারি কর্মীদের বাড়ি যেতে না দিয়ে ঘেরাও করা এবং পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে লাঠিচার্জ নেমে আসে তাঁদের উপর। এই ঘটনায় আজ, শনিবার অভিনব প্রতিবাদ দেখা গেল বিকাশ ভবনের সামনে।

    আজ, শনিবার দুপুরে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন আইএনটিইউসি সেবাদল। এদিন তারা মিছিল করে এসে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকাদের আন্দোলন মঞ্চে জমায়েত করে। আই এনটিইউসি সেবা দলের এক কর্মী রবীন্দ্রনাথের ছদ্মবেশে গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে দাঁড়ায় পুলিশ অফিসারদের সামনে। পুলিশ অফিসারদের ফুল দিতে গেলে তারা নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। অবস্থান মঞ্চে প্রতীকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখে সকলে সেলফি নিতে শুরু করেন। এমনকী শিক্ষক–শিক্ষিকারা সেখানে ভিড় করে সেলফি নেন।


    গত বৃহস্পতিবার বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকতে গেলে চাকরিহারারা ঘিরে ধরেন সব্যসাচীকে। তাঁকে ধরে রীতিমতো টানা হ্যাঁচড়া করার সঙ্গে স্লোগান তোলেন ‘চাকরি চোর’। তখনও একপ্রস্থ বচসা হয়। আবার সব্যসাচী দত্তের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন চাকরিহারারা। আন্দোলন চরমে উঠলে তা হঠাতে ওই দিন রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর আন্দোলন আরও তীব্রতর করার ডাক দিয়েছেন চাকরিহারারা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। এই আবহে আজ শনিবার সেখানে চাকরিহারাদের অবস্থান মঞ্চে পৌঁছলেন প্রতীকী কবিগুরু।

    এই ঘটনা দেখে প্রতীকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন করা হয়, পুলিশের লাঠিচার্জ শিক্ষকদের উপর কি সঠিক?‌ এটা কি খুব দরকার ছিল?‌ জবাবে প্রতীকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘‌শিক্ষকদের মারধর করা এবং অপমান করা মানে শিক্ষাকেই অপমান করা। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে পুলিশ সেটাই করেছে। পুলিশের কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানাতে এবং শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিতে এই অভিনব আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা মানেই শান্তি এবং সম্প্রীতির জায়গা। সেই বার্তা পুলিশকেও আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)