আম কুড়োনোর অপরাধে কিশোর সুদীপ্ত পণ্ডিতকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে উত্তাল নৈহাটির আতিসারা গ্রাম। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এখনও থমথমে এলাকা। এই আবহে শনিবার কাঁচরাপাড়া এলাকার শিবদাসপুরে কিশোরের মামাবাড়িতে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে-ও।
মৃত কিশোরের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন পার্থ। সবরকম ভাবে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘নৃশংস ঘটনা। পরিবারের পাশে আছি। দোষীর চরমতম শাস্তি চাই। পুলিশ প্রশাসন যা যা করার করবে।’
জানা গিয়েছে, মৃত সুদীপ্তরা দুই ভাই। সুদীপ্ত ছিল ছোট। সন্তানের মৃত্যুতে শোকহত মা। কান্না ভেজা গলায় অভিযুক্তের মা বলেন, ‘শতবার মাথা ঠুকলেও ছেলে আর ফিরবে না। আমরা এখন দোষীর ফাঁসি চাই।’ পাশাপাশি পরিবারের একজনের চাকরি দিলে ভালো হয় বলেও সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে বন্ধুদের সঙ্গে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার সময় একটি বাগান থেকে আম কুড়োচ্ছিলেন সুদীপ্ত ও তার বন্ধুরা। সেই সময় বাগান পাহারা দিচ্ছিলেন ফুরহাদ মণ্ডল। তিনি সুদীপ্তদের দেখেই তেড়ে যান। সঙ্গের ২ বন্ধু পালাতেও ধরা পড়ে যান সুদীপ্ত। অভিযোগ, এরপরই তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন ফারহাদ।
পরে নৈহাটির এসজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরই স্থানীয়দের সমস্ত আক্রোশ গিয়ে পড়ে ফারহাদের উপর। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও, তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েও অবরোধ করা হয়।