• ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পদ হারালেন তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী, জল্পনা নদিয়ায়
    এই সময় | ১৭ মে ২০২৫
  • ১৪ মে হাতে পেয়েছিলেন চিঠি। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী করা হয়েছিল তাঁকে। শুক্রবার সব জেলার সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দুই পদেই কোনও পরিবর্তন হয়নি নদিয়ায় (কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা)।

    স্বমহিমায় জেলার সভাপতি পদে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র এবং জেলা চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন রুকবানুর রহমান। শুক্রবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পদ ছাড়ার কথা জানান কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী টিনা ভৌমিক সাহা। শনিবারই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া তাঁকে। 

    শুক্রবার রাতেই অবশ্য মহিলা তৃণমূল নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ব্যক্তিগত কারণবশত আমি এই মুহূর্তে ওই দায়িত্ব গ্রহণ করতে অপারগ। এই সিদ্ধান্ত আমার পক্ষে সহজ ছিল না, কারণ তৃণমূল কংগ্রেস শুধু আমার রাজনৈতিক পরিচয় নয় — এটি আমার আত্মার আত্মীয়, আমার সংগ্রামের সাথী।’ যদিও, ঠিক কী কারণে তিনি দলের পদ ছাড়তে চাইছেন সেই সম্বন্ধে খোলসা করে কিছু জানাননি। 

    দু’দিন আগেই রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মালা রায়ের হাত থেকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক মহিলা তৃণমূল সভানেত্রীর পদ পাওয়া চিঠি হাতে নিয়ে ছবি দেখা গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। হঠাৎ করে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক মহিলা তৃণমূলের পদাধিকারী পরিবর্তন হওয়াতে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। এর আগে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে ছিলেন মল্লিকা চট্টোপাধ্যায়। 

    তবে বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন , ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এটা দলেরই সিদ্ধান্ত। আরও বেশি করে খোঁজ নিয়ে তারপরে বিষয়টি বলতে পারব। শুনেছিলাম টিনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরে আবার শুনলাম তারই পথ বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’ যদিও গোটা বিষয় নিয়ে টিনা ভৌমিক সাহার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • Link to this news (এই সময়)