• দিলীপ ঘোষও তাঁর মতোই দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না, ডুয়ার্সে ফিরেই বিস্ফোরক বার্লা...
    আজকাল | ১৮ মে ২০২৫
  • অতীশ সেন, ডুয়ার্স: ডুয়ার্সে ফিরেই আবার নিজের মেজাজে জন বার্লা। নিজের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তুললেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। দিলীপ ঘোষও তাঁর মতোই বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না বলে দাবি করলেন তিনি। বার্লার দাবি, 'মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতেই তৃণমূলে এসেছি। দিলীপ ঘোষও আমার মতোই তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছিলেন। লড়াই করে সংগঠন তৈরি করেছিলেন। তিনিও কাজ করতে পারছেন না। সবার উপর বাইরে থেকে আসা নেতা শুভেন্দু অধিকারী'কে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।' শুভেন্দু গোষ্ঠীর বিরোধিতার জন্যই কাজ করতে না পেরে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শনিবার ডুয়ার্সে নিজের এলাকায় ফিরতেই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

    জন বার্লা বলেন, '২০১৪ সালে চা বলয়ে বিজেপির ঝান্ডা লাগানোর কেউ ছিল না। আমি সংগঠন তৈরি করেছিলাম। তবে আমি বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব আমাকে সাহায্য ও সমর্থন করছিল না। আলিপুরদুয়ারে হাসপাতাল বানানোর চেষ্টা করি। বিজেপিই বিরোধিতা করে। তবে তর্ক-বিতর্কে আমি যেতে চাই না। বর্তমানে রাজ্যের বিরোধিতা দলনেতা যেভাবে তর্ক করছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ভেদাভেদ করছেন, তা ঠিক নয়। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে কাজ করা দরকার। জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়ের উর্দ্ধে উঠে মমতা ব্যানার্জি কাজ করছেন। তাই তৃণমূলে এসেছি।' তিনি জানান, দিল্লীতে স্ত্রীর চিকিৎসা চলাকালীনও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে কিছু দায়িত্ব দেবেন বলে বলেছিলেন। বার্লার সংযোজন, 'আগামীদিনে আপনারা জেনে যাবেন আমি কী দায়িত্ব পেতে চলেছি। দিদির আশীর্বাদ পেলে কাজ করা যাবে।'

    এরই সঙ্গে প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকারের এমন কোনও যোজনা ও প্রকল্প নেই, যাকে সামনে রেখে মানুষের কাছে যাওয়া যায়। মুদ্রা যোজনা, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ঋণ, অসমের বিশ্বকর্মা যোজনা - সহ প্রধানমন্ত্রীর নামে চলা বিভিন্ন প্রকল্প কেবল খাতায় কলমে চলছে। ফর্ম ফিল-আপ হচ্ছে, কিন্তু মানুষ কোনও সুবিধা ও পরিষেবা পাচ্ছেন না। উল্টো দিকে রাজ্যে 'দিদি'র সমস্ত যোজনা ও পরিষেবা বাস্তবে চলছে। 

    শুভেন্দু অধিকারী ১৯ তারিখ বানারহাটে একটি সভা করবেন। বার্লার অভিযোগ, 'অশান্তি ছড়াতেই শুভেন্দু ডুয়ার্সে আসছেন। শুভেন্দু কে? উনি আসুন, যান, তাতে কিচ্ছু যাবে আসবে না। এসে তো খালি ভাষণই দেবেন। আর তো কিছু করতে পারবেন না। তাই তিনি আসলে বিরোধিতা করার প্রয়োজন নেই।'  

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বার্লা বলেন, বানারহাটে হিন্দি কলেজ দিদি দিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে হিন্দিতে প্রশ্নপত্র, করম পুজোর ছুটি এই সব দাবি তাঁরা করেছিলেন। দিদি সব পূরণ করেছেন। আজ যাঁরা তৃণমূলে, তাঁদের বেশিরভাগই এক সময় তাঁর সঙ্গে বিকাশ পরিষদে ছিলেন। তিনি তৃণমূলে নতুন এলেও - এখানে এসে তাঁর সেই পুরানো বন্ধু ও কর্মীদের পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে মিলেই কাজ করবেন বলে জানান তিনি। চা বলয়ে এবার খেলা হবে বলে বার্লা জানিয়েছেন।
  • Link to this news (আজকাল)