ফের বায়োমেট্রিক তথ্য ভান্ডারে সিঁদ কাটার চেষ্টা! মুর্শিদাবাদের গ্রেপ্তার ২
প্রতিদিন | ১৮ মে ২০২৫
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: অপারেশন সিঁদুরের আবহে তথ্য চুরির চেষ্টা! সীমান্ত এলাকায় ফের অনুপ্রবেশকারীদের বৈধ পরিচয়পত্র তৈরির ছক! তিনদিনের মাথায় ফের এই ষড়যন্ত্র বানচাল করল মুর্শিদাবাদের পুলিশ। গ্রেপ্তার জাল আধার কার্ড তৈরির চক্রের ২ পান্ডা।
শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার নরসিংপুর বাজার থেকে ওই চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করেছে জাল আধার তৈরির সরঞ্জামও। পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম সানাউল্লা শেখ, বয়স ৩২ বছর ও আনোয়ার রহমান, বয়স ৩০ বছর। তাদের বাড়ি সাগরপাড়া থানার বারোমাসিয়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, নরসিংহপুর বাজারে সানাউল্লা শেখ নিজের দোকানে বসেই ওই কাজ চালাত। সীমান্ত এলাকার বাজার বা গ্রাম থেকে জাল আধার তৈরির পাঁচ পান্ডা গ্রেপ্তার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ১৪ মে রাতে রানিনগরের পুলিশ কাতলামারীর কদমতলা গ্রাম থেকে একইভাবে জাল আধার তৈরির সরঞ্জাম-সহ তিন পান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার,দু’টি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, দু’টি স্ক্যানার, দু’টি ফোন, তিনটে তৈরী আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার সাগরপাড়া থানায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ , সিআই তাপস দাস ও ওসি খোরসেদ আলম। এসপিও জানান, “ধৃতরা নিজেদের আধারকার্ড তৈরির অনুমোদিত কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে।” পাশাপাশি এসডিপিও আরও জানান, “নতুন আধারকার্ড তৈরির আইনি অনুমতি রয়েছে ইউআইডিএআই অর্থাৎ ভারতে স্বতন্ত্র শনাক্তকরণ কর্তৃপক্ষের হাতে। যেটা এই জেলায় একমাত্র বহরমপুরে আছে। সেখান থেকেই নতুন আধার কার্ড করতে হয়। বাজারে বা পাড়ায় বসে যারা আধার বা অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করে দিচ্ছে বা আপগ্রেডেশন করছে জানবেন সেটা অবৈধ।”