• দামে কম, হাইজিনে শূন্য বিরিয়ানি নিয়ে ধন্দে শহর
    বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বিতর্কে ‘মহাভোজ! পচা, বাসি এবং পোকাযুক্ত অস্বাস্থ্যকর বিরিয়ানি বিক্রির পর্দাফাঁসে শিলিগুড়িতে এটাই ‘টক অফ দ্য টাউন’। ফলে, বিরিয়ানি খাবার কথা মনে এলেও দু’বার ভাবছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দারা। বুধবার চম্পাসারিতে বিরিয়ানির মাংসে পোকা, শুক্রবার বাঘাযতীন পার্কের এক রেস্তরাঁয় কমোডের সামনে বিরিয়ানি স্টোর করে রাখার ঘটনায় বিষ্মিত সকলে। ফলে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে দশদিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মনে করছেন শহরের খাদ্যপ্রেমীরা।

    উত্সব কিংবা জন্মদিনের পার্টি, বিরিয়ানি বরাবরই ইয়ং জেনারেশনের হট ফেবারিট। দাম নাগালের মধ্যে পেয়ে গেলে তো কথাই নেই। পাড়ায় পাড়ায় ‘দামে কম মানে ভালো’-এই স্ট্র্যাটেজিতে দেদার বিরিয়ানি বিক্রি চলে। ক্রেতা টানার জন্য কোনও দোকানে ৮০ কোনও দোকানে ১০০ টাকারও নীচে দাম রাখছেন বিক্রেতারা। পকেট ফ্রেন্ডলি দাম দেখে রীতিমতো কব্জি ডুবিয়ে চিকেন-মটন বিরিয়ানি, মোমো সাঁটিয়ে আসেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। কিন্তু, এই খাবার কতটা হাইজিনিক, বাঘাযতীন পার্ক সংলগ্ন রেস্তরাঁর ভাইরাল দৃশ্য দেখে এবার কড়া ভাষায় সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী। শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের আইনজীবী সোমনাথ সাহার কথায়, বড়দের মতো ছোটদেরও এখন বিরিয়ানি খুব পছন্দ। কিন্তু, কম দামে যে সব বিক্রি হচ্ছে সেগুলি আদতে কতটা স্বাস্থ্যকর, সেই প্রশ্ন উঠছে। তাই বিরিয়ানি খেতে হলে ভেবেচিন্তেই এগবো। হাইজিনের ব্যাপারে দোকানিরা ঢোক গিললেও শহরবাসী তাদের ছাড়বার পাত্র নন। 

    স্কুল শিক্ষিকা পায়েল চট্টোপাধ্যায় বলেন, দোকানের বিরিয়ানির যা অবস্থা, তা দেখে ভয়ই হয়। তার থেকে ঘরে বানিয়ে নেওয়াই ভালো। দোকান নির্ভর না হয়ে আত্মনির্ভর হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানো যাবে। ‘দামে কম’ মানেই যে সেটা হাইজিনিক হবে, তেমন মনে করা উচিত নয় বলেই মন্তব্য ব্যাঙ্ক কর্মী সম্পা রায়ের। তিনি বলেন, বাঙালি হয়ে বিরিয়ানি প্রেমী নন, এমন সংখ্যা খুবই কম। তবে হাইজিনটা সবার আগে। তাই একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও ভালো জায়গাতেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া উচিত।  

    এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থেকে হাইজিনিক ফুড পরিবেশন করা বাধ্যতামূলক করার দাবি উঠেছে আম নাগরিকদের থেকে। যদিও ফুড সেফ্টি নিয়ে পুরসভার গঠিত টাস্ক ফোর্সের এক অফিসার জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে কিছু দোকান সিল করা হয়েছে। বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। 

     ফাইল চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)