• জলের সঙ্কট অব্যাহত, পরিস্থিতি সামাল দিতে বসবে আরও ৮টি ডিপ টিউবওয়েল
    বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
  • সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে ফের পানীয় জলের সঙ্কট। গত দু’দিন ধরে শিলিগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় জলই আসেনি, কোথাও টিপটিপ করে জল পড়ছে। শহরে পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন মেয়র গৌতম দেব। আর এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আরও আটটি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

    শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নাগরিকরা মেয়রের কাছে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। মেয়র পানীয় জলের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আমরা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গজলডোবা থেকে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা শেষ হতে সময় লাগবে। তার আগে যাতে শহরবাসীর কাছে পানীয় জল ঠিকমতো পৌঁছয় তার জন্য আমরা বিকল্প সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নতুন একটি পুকুর তৈরি করা হচ্ছে জল ধরে রাখার জন্য। আরও একটি পুকুর তৈরি করা হবে। তাহলে বর্ষার সময় তিস্তার জল ঘোলা এলে বা কোনও কারণে জলের জোগান কমে গেলে পুকুরে ধরে রাখা জল দিয়ে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।  

    বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মেয়র বামেদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুরসভা ও রাজ্যে বামেরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তবু তারা শিলিগুড়ি পুরসভার পানীয় জল প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিকল্প ব্যবস্থা করে যায়নি। সেই গাফিলতির জন্য আজ শহরবাসীকে পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। 

    পুরনো জল প্রকল্পের ইনটেক ওয়েলটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পিএইচই ইঞ্জিনিয়াররা সেটি বাতিল করার কথা বলেছেন। মেয়র বলেন, রিজার্ভে একটি ইনটেক ওয়েল থাকা জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞদের দেখিয়ে সেটিকে কার্যকর রাখার চেষ্টা চলছে। অনেক ওয়ার্ডে জলের চাপ কম। ঠিকমতো সেখানে জল পৌঁছচ্ছে না। তাই ইতিমধ্যেই আমরা তিনটি ডিপ টিউবওয়েল বসিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় আরও আটটি ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল। তাই শহরবাসীর সমস্যার কথা মেনে নিয়েও বলছি  আমাদের হাতে কোনও জাদুদণ্ড নেই যে রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে চেষ্টা চলছে যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)