• ৫ বছর আগে ভেঙেছে ব্রিজ, ভরসা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি সাঁকো
    বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: চ্যারেঙ্গা নদীর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে ভরসা বাঁশের সাঁকো। নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ধন্দা সিমলা গ্রামের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষায় সাঁকো ভেসে গেল দুর্ভোগ বাড়বে। পাঁচ বছর আগে কংক্রিটের সেতু ছিল। বর্ষায় ভেঙে যায়। তারপর স্বেচ্ছাশ্রমে বানানো হয় বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে সেই সাঁকোর উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন তাঁরা। মাঝেমধ্যে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই চ্যারেঙ্গা নদীতে ফের কংক্রিটের সেতুর দাবি উঠেছে। 

    গ্রামবাসীদের দাবি, পাঁচ বছর ধরে সেতু তৈরির দাবি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের দাবি ন্যায্য, জানিয়েছেন আংরাভাসা-২ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান চাঁদ বিনোদ রায়ও। যদিও নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, আমরা সেতুর ব্যাপারে উপর মহলে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, অনুমোদন হয়ে যাবে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা নবীনচন্দ্র রায় বলেন, চ্যারেঙ্গা নদীর সাঁকো পেরিয়ে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এমনকী বাজারেও যেতে হয়। শুখা মরশুমে নদীতে জল থাকে না। কিন্তু বর্ষায় জলস্ফীতিতে সাঁকো ভেসে যায়। পরবর্তীতে ফের সাঁকো বাঁধা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নড়বড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করছি। 

    গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, আমরাও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেতুর ব্যাপারে উপর মহলে জানিয়েছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। উল্লেখ্য, পাহাড়ি খরস্রোতা এই নদীটি দক্ষিণ ধন্দা সিমলা গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। পাঁচ বছর আগে ভারী বৃষ্টিতে পাকা সেতু ভেঙে যায়। এরপরই গ্রামবাসীরা বাঁশ কেটে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু এই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অতীতে বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। ধুমপাড়া বাজার, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ সহ অনান্য প্রয়োজনে ধুমপাড়া যেতে হলে এই সাঁকোই সহজ পথ। তাই সকলের দাবি, দ্রুত চ্যারেঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরি করে দেওয়া হোক। 
  • Link to this news (বর্তমান)