• প্রসূতি মৃত্যুতে রাশ টানা সম্ভব হলেও শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে কর্তৃপক্ষ
    বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: প্রসূতি মৃত্যুতে কিছুটা হলেও রাশ টানা সম্ভব হয়েছে। শেষ দেড় মাসে সিউড়িতে কোনও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অথচ শিশুমৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি রাশ টানা সম্ভব হচ্ছে না। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য মহল কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, বিগত দিনগুলির তুলনায় শিশুমৃত্যুর হার কিছুটা হলেও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুমৃত্যু রুখতে সচেষ্ট জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ঘটনায় প্রায়ই বৈঠকে বসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুমৃত্যু ঠেকাতে কী কী করণীয়, তা নিয়ে নিয়মিত আলোচনাও চলছে। অন্য দিকে, চিকিৎসাধীন প্রসূতি সহ নবজাতকদের উপর নজরদারিতেও কোন ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। হাসপাতাল সুপার ডাঃ প্রকাশচন্দ্র বাগ বলেন, প্রসূতি মৃত্যু রুখতে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। টানা প্রায় দেড় মাস যাবৎ প্রসূতি মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে, শিশুমৃত্যুর হারও অনেকটাই কমছে। তবে আমরা প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু পুরোপুরি রুখতে তৎপর।  সেক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকটিতে যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আশা কর্মীদের কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজও করা হচ্ছে।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪৫ দিনে একজন প্রসূতিরও মৃত্যু হয়নি। তবে শেষ দুই সপ্তাহে হাসপাতালে দু’জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার আগে এক সপ্তাহে চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জন্মের সময় শিশুর ওজন অস্বাভাবিকভাবে কম নজরে এসেছিল। মূলত অপরিণত শিশু। এছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট সহ আরও একাধিক সমস্যা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যদিও চিকিত্সা পরিষেবায় কোনও খামতি রাখা হয়নি। প্রত্যেক শিশুকেই বাঁচানোর ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রসূতি মৃত্যুর পাশাপাশি শিশুমৃত্যুতেও এবার লাগাম টানার কাজ চলছে। এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকটিতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু ঠেকাতে আশাকর্মীদের ভূমিকা যথেষ্ট রয়েছে। তাই ব্লক স্তরে আরও বেশি করে তাঁদের কাজে লাগানো হচ্ছে। শুরুতেই গর্ভাবস্থায় প্রসূতিদের পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকটিতে যথেষ্ট জোর 

    দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আশাকর্মীদের মাধ্যমে সচেতনতার পাঠ দেওয়ার কাজ চলছে। গর্ভাবস্থায় কী কী করণীয়, তা প্রসূতিদের বোঝানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সঠিক সময়ে যাতে প্রসূতিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই বিষয়টি নিয়েও নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)