• সাগরপাড়ায় জাল আধার কার্ড তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই
    বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: রানিনগরের পর এবার সাগরপাড়া। সীমান্ত এলাকায় একেবারে জাঁকিয়ে বসেছিল জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এবারে সাগরপাড়ায় হানা দিয়ে আধার তৈরির সরঞ্জাম সহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করল সাগরপাড়া থানার পুলিস। শুক্রবার রাতে সাগরপাড়ার নরসিংহপুরে হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম সানাউল্লাহ শেখ ও আনোয়ার রহমান। তাদের বাড়ি সাগরপাড়া থানা এলাকাতেই। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা অনেকদিন ধরেই জাল আধার কার্ডের তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল। সানাউল্লাহের দোকানেই জাল আধার কার্ড তৈরি হতো। কিভাবেই করা হতো জালিয়াতি? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত আধার কেন্দ্রের ইউজ়ার আইডি ও পাসওয়ার্ড জোগাড় করত এই চক্র। পরবর্তীকালে সেগুলি ব্যবহার করে আধারের ওয়েবসাইটে লগ ইন করত।  লগ ইন হওয়ার পর আধারের সার্ভারে এক্সেস নিয়ে চলত জালিয়াতি। অন্য জনের নথি ও পরিচয়পত্র,ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হতো আধার কার্ড। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে শুধুমাত্র এডিটিং করেই তৈরি করা হতো জাল আধার কার্ড। এক একটি আধার কার্ড তৈরির জন্য পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা করে নেওয়া হতো।

    শুক্রবার পুলিসের কাছে খবর আসে সাগরপাড়ার নরসিংহপুরে একটি দোকানে জাল আধার কার্ড তৈরি করছে জালিয়াতরা। এরপরই পুলিসের একটি দল সেখানে হানা দেয়। দেখা যায়, তখন দোকানে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে আধার কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। তাদের কাছে আধার কার্ড তৈরির বৈধ অনুমতি দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা তা দেখাতে পারেনি। এরপরই দোকানে থাকা চারটি আসল আধার কার্ড, একটি প্রিন্টার মেশিন, দুটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল, দুটি স্ক্যানার সহ তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

    পুলিসের অনুমান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই এই কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা বিভিন্ন জনের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে জাল আধার কার্ড তৈরি করছিল।  তবে ধৃতরা শুধু এলাকার লোকেদেরই আধার কার্ড তৈরি করে দিত নাকি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও আধার কার্ড তৈরি করে দিত তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, এই ঘটনার পিছনে আর কারা জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া, কতদিন ধরে এই বেআইনি কাজ চলছিল, কত জাল আধার কার্ড তৈরি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)