জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কমিটির চেয়ারপার্সন পদ থেকে অপসারিত টিনা
বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নদীয়া জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কমিটির চেয়ারপার্সন পদ থেকে অপসারণ করা হলো টিনা ভৌমিক সাহাকে। দু’দিন আগে ওই পদে নিয়োগের পর, হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত ঘিরে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। তেহট্টের জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহাকে গত ১৪ মে নদীয়া জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মালা রায়। এই পদটি এতদিন জেলা রাজনীতিতে প্রচলিত না থাকলেও, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার মহিলা সংগঠনের শীর্ষে তাঁকে বসানো হয়। ১৬ মে সকালে টিনাদেবী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এই বিষয়ে পোস্ট করেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতেই নাটকীয় মোড়। তৃণমূল কংগ্রেস, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা কমিটির নতুন সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করে। সেখানে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। ওইদিন রাতেই মালা রায় ফের চিঠি দিয়ে টিনা ভৌমিক সাহাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানান, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর। পরদিন, শনিবার দুপুরে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মল্লিকা চট্টোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সেই চিঠি পোস্ট করেন। তিনি বলেন, নদীয়া জেলায় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসে চেয়ারপার্সন পদ থাকছে না। জেলা সভানেত্রীর পদই বহাল থাকবে। আমরা মহিলা সংগঠনকে মজবুত করার কাজ করব।
এই নাটকীয় উত্থান পতনের পর টিনা বলেন, এটা আমার নৈতিক জয়। আগেও জেলা পরিষদের সদস্য ছিলাম, এখনও আছি। দলের থেকে কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। দলকে সমৃদ্ধ ও উজ্জীবিত করতে তৃণমূল কর্মী হিসেবে লড়াই করে যাব। বিরোধীরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেছে, তৃণমূল কংগ্রেসে এখন নেতাদের পদের স্থিতি চব্বিশ ঘণ্টাও নয়! উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে টিনার রাজনৈতিক দূরত্বের কথা নতুন নয়। অতীতে বিভিন্ন সময়ে জেলা সংগঠনের সিদ্ধান্ত ও অবস্থানের বিরুদ্ধে টিনার অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার সময় মঞ্চে দেখা যায় টিনাকে, যেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন তেহট্টের শহিদ জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের নেতা সব্যসাচী দত্ত। • নিজস্ব চিত্র