নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান ও সংবাদদাতা, কালনা: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে পুলিস ইরানের দুই নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের একজনের নাম আলি মাহবুবি। অপরজন নাবালক। সম্পর্কে তারা বাবা-ছেলে। মন্তেশ্বরের হোসেনপুরে একটি সোনার দোকানে তারা চুরির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দোকানের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তারা দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ভাষাগত সমস্যার কারণে সবকিছু বুঝতে তাঁদের সমস্যা হয়। পরে তাঁরা মন্তেশ্বর থানায় খবর দেন। পুলিস দু’জনকেই থানায় নিয়ে নিয়ে যায়। শনিবার নাবালককে বর্ধমান জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়। আলি মাহবুবিকে কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তারা এদেশে ঘুরতে আসে। দিল্লি থেকে গাড়ি ভাড়া করে তারা ঘোরা শুরু করে। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরও তারা দেশ ছাড়েনি। তারা মন্তেশ্বরে কেন এসেছিল, তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে। শুধু সোনার দোকানে চুরি না, অন্য কোনও উদ্দেশ্যে তারা এসেছিল পুলিস খতিয়ে দেখছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, গাড়ি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা মন্তেশ্বরে আসে। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে সেখান থেকে তারা হোসেনপুরে আসে। সেখানে একটি সোনার দোকানে ঢোকে। ধৃতরা অবশ্য পুলিসকে জেরায় জানিয়েছে, সোনার দোকানে চুরির কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। উৎসাহের কারণেই সোনার দোকানে ঢোকে। সন্দেহের বশেই তাদের মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের কাছে টাকা ছিল। তবে ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেন তারা দেশ ছাড়েনি তার সদুত্তর পুলিস পায়নি।
কালনার মহকুমা পুলিস আধিকারিক রাকেশ চৌধুরী বলেন, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলি যাচাই করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দু’জনকেই জেরা করা হয়। ধৃতদের বিভিন্ন দেশে ঘোরার নেশা রয়েছে। ভারতবর্ষেরও বিভিন্ন প্রান্ত তারা ঘুরেছে। কিন্তু মন্তেশ্বরে তারা কীভাবে এসে পৌঁছল সেটা পুলিস খতিয়ে দেখছে। তাদের কাছে সন্দহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি।