• মোবাইল ‘হ্যাকমুক্ত’ করার নামে ধর্ষণ, আমৃত্যু কারাদণ্ড
    বর্তমান | ১৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ফোন ‘হ্যাকমুক্ত’ করার নাম করে যুবতীকে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগে বাহার আলিকে বৃহস্পতিবারই দোষী সাব্যস্ত করেছিল বারাসত আদালত। শনিবার বাহার আলিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত যুবকের বাড়ি শাসন থানার চৌমহা এলাকায়। দু’বছর ধরে চলছিল এই মামলা। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ১৪ মে রাতে ঘটনাটি ঘটেছিল। নির্যাতিতা ১৭ মে মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মধ্যমগ্রাম থানার তদন্তকারী অফিসার পিঙ্কি ঘোষ অভিযুক্ত বাহারকে গ্রেপ্তার করেন। ধৃতকে জেরায় আরও জানা যায়, শুধু এই ঘটনাই নয়। বাহারের ‘টার্গেট’ ছিল স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। তাদের নানা কখনও ভয় দেখিয়ে, কখনও সাহায্যের নাম করে ধর্ষণ করত সে। তারপর অপকর্মের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেলও করত। এসবের ভিত্তিতে চার্জশিট জমা পড়ে। সওয়াল-জবাব শেষে শনিবার বাহারকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক। এদিন এজলাসে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের লক্ষ করে লাথি ছুড়তেও দেখা যায় বাহার আলিকে। মামলার সরকারি আইনজীবী সৌভিক বসু ঠাকুর বলেন, ‘৩৭৬ ধারায় (ধর্ষণ) আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪১৯ ধারায় (ভুয়ো পুলিস পরিচয় দিয়ে প্রতারণা) পাঁচ বছরের জেল হয়েছে। এছাড়া, ৫০৬ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। নির্যাতিতাকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। তবে, সবক’টি সাজা একসঙ্গেই চলবে।’-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)