নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। আট মাস কেটে গেলেও বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি নির্বাচন ঝুলে। জেলা জেলায় গোষ্ঠী কোন্দল চরমে। এক গুচ্ছ শীর্ষ রাজ্য পদাধিকারীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি সহ হাজারও অভিযাগ। সব মিলিয়ে বাংলার বিজেপির দৈন্যদশা চরমে। তারই মাঝে বুথ কমিটি ‘কঠিন রোগ’ আরও ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। বহু জায়গায় এখনও কমিটি গড়া যায়নি। যেখানে হয়েছে, তাতেও বিস্তর ফাঁক। এই কমিটি গঠন নিয়ে দুধে জল মেশানোর মারাত্মক অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। এবার সেই জল আর দুধ আলাদা করতে নেমেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। তার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে। এই কমিটির কাজ হল বুথের হাল, কত বুথে কমিটি তৈরি করা যায়নি, কত ভুয়ো কমিটি আছে ইত্যাদি খুঁজে বার করা। কমিটির এক সদস্যের কথায়, জল আর দুধ আলাদা করতে চাইছেন কেদ্রীয় নেতারা। তাদের তদন্তেই সামনে এসেছে, বহু বুথে ভুয়ো নামে ছয়লাপ।
১০ থেকে ১৫ জনের বুথ কমিটি নামের তালিকা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জমা পড়েছে। কল সেন্টারের মাধ্যমে তা যাচাই করতে গিয়ে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। অধিকাংশ বুথের তালিকার চূড়ান্ত গড়মিল ধরা পড়েছে। দিল্লি থেকে ফোন করে বিভিন্ন বুথের এই করুণ চিত্র সামনে এসেছে। সুনীল বনশল সাংগঠনিক বৈঠকে বলেছেন, এই রাজ্যের রিপোর্ট সারা দেশের রিপোর্টের মধ্যে খাতায়কলমে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু বাস্তবের সাথে কোনও মিল নেই। প্রায় সবটাই ভুলে ভরা। তাই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুথ ধরে ধরে বুথ কমিটি থেকে জল বার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই কমিটি কেদ্রীয় পর্যবেক্ষককে রিপোর্ট দেবে। প্রয়োজনে এই কমিটির সদস্যরা যে কোনও জেলায় যে কোনও বুথে যেতে পারবেন। তার জন্য জেলা সভাপতির অনুমোদন লাগবে না। বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির এই
‘দুগ্ধ সন্ধান’ কর্মসূচি সফল হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।