• উত্তর থেকে দক্ষিণ, সেনাকে সম্মান জানাতে রাজ্য জুড়ে পথে নামল তৃণমূল
    এই সময় | ১৮ মে ২০২৫
  • এই সময়: জাতীয় পতাকা নিয়ে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের ছবির ব্যানার হাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়ে মিছিল করল তৃণমূল। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ঘোষণা করেছিলেন, সেনাকে সম্মান জানাতে ও শহিদ জওয়ানদের স্মৃতি তর্পণে শনিবার ও রবিবার রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা, ব্লক, পুরসভার ওয়ার্ড, গ্রামাঞ্চলে কর্মসূচি করবে তৃণমূল।

    মমতার সেই নির্দেশ মেনেই শনিবার বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, পশ্চিমে পুরুল‍িয়া থেকে পূর্বে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করেছেন তৃণমূলের নেতা–নেত্রীরা। সব মিছিল শুধু জাতীয় পতাকা নিয়েই করা হয়েছে।

    মিছিলে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া হয়নি। রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রবীণতম মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছেন। একাধিক মিছিলের ব্যানারে সোফিয়া ও ব্যোমিকার ছবি ছিল।

    কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উপস্থিতিতে নদিয়ার পলাশিপাড়া, কালীগঞ্জ ও নাকাশিপাড়া ব্লকে মিছিল হয়। সেখানেও মিছিলের ব্যানারে সোফিয়া ও ব্যোমিকা–র ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘এক বৃন্তে দুটি কুসুম’। হুগলি জেলার তৃণমূলের প্রবীণ বিধায়ক অসিত মজুমদার চঁুচুড়া শহরের খাদিনা মোড় থেকে ব্যান্ডেল মোড় পর্যন্ত যে মিছিল করেছেন, সেই মিছিলের ব্যানারেও সোফিয়া ও ব্যোমিকার ছবি ছিল।

    কলকাতায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বন্দরে মিছিল করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই মিছিলের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ভারতীয় সেনার প্রতি সংহতি জানাই’। ফিরহাদের মুখে ছিল স্লোগান, ‘উই আর প্রাউড অফ ইন্ডিয়ান আর্মি’। এই মিছিলের শেষে ফিরহাদ বলেন, ‘পাকিস্তানের জঙ্গিরা আমাদের দেশের নিরীহ মানুষকে খুন করেছে।

    পাকিস্তানের সেনা তা সমর্থন করেছে। এর জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। আমরা এর জন্য গর্বিত। ব্যোমিকা সিং ও সোফিয়া কুরেশিকে কুর্নিশ জানাই। ঝন্টু আলি শেখ–সহ যে জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ।’

    উত্তর কলকাতার আহিরিটোলায় শশী পাঁজার নেতৃত্বে মিছিল হয়। সেই মিছিলের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।’ রাসবিহারী বিধানসভা এলাকায় মিছিল করেছেন তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতার সভাপতি দেবাশিস কুমার। এই মিছিলের ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন যাত্রা’।

    রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও বড় মিছিল করে তৃণমূল। সেখানে কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জাতীয়তাবাদী পদযাত্রা’। কলকাতার চৌরঙ্গী বিধানসভার একাধিক ওয়ার্ডে মিছিল করেছেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ‘উই আর প্রাউড অফ ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সেস’ লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল নয়নার হাতে। নিউ টাউনে কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেছেন বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের অধিকাংশ মিছিল মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বেশ ভালো।

    উত্তরবঙ্গে কোচবিহার শহরে গান্ধীজি, মাস্টারদা সূর্যসেন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস–সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কদের ছবি নিয়ে মিছিল করেছেন তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেছেন তৃণমূলের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। এই মিছিলের ব্যানারেও ভারতীয় জওয়ানদের ছবি দেখা গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)