এই সময়: দু’মাসের ব্যবধানে পুলিশের পেশ করা তথ্যে বিকৃতির নমুনা পেয়ে চরম বিরক্ত হাইকোর্ট। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন রহড়া থানাকে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের তীব্র ভর্ৎসনা, পুলিশের থেকে পাওয়া রিপোর্ট দেখেই আদালত অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া বা না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।
সেখানে পুলিশ বিকৃত তথ্য দিলে গোটা প্রক্রিয়াটাই ভুল পথে চালিত হয়। এর পরেই আদালত রহড়া থানার অফিসার সুব্রত সরকারকে শো–কজ় করে। আদালতের বক্তব্য, কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, ২২ মে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
রহড়ায় একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় বেশ কয়েক জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার মধ্যে কয়েক জন জেলা আদালত থেকেই জামিন পান। মেহবুব খান নামে মূল অভিযুক্ত দু’মাস আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
তখন আদালতের প্রশ্নে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই। সেই মামলায় অন্য এক ধৃত সোনু শেখের জামিনের আর্জির শুনানি ছিল গত সপ্তাহে হাইকোর্টে।
পুলিশ দাবি করে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতে এমন অপরাধের নজির আছে। তখন সোনুর দুই আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় ও অভিজিৎ সিং পুলিশের কিছু নথি দাখিল করেন। সেই নথি দেখিয়ে তাঁদের দাবি, সোনু শেখ নন, আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া মেহবুব খানের বিরুদ্ধেই বরং ২০১৮ সালে বেলঘরিয়া থানা এলাকায় অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
সেই নথি দেখার পরেই প্রবল অসন্তুষ্ট বিচারপতি পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন। আদালতের বক্তব্য, গত ১৮ মার্চ পুলিশ যে রিপোর্ট দিয়েছিল, সেখানে এই তথ্য ছিল না।
তা হলে এখন এই তথ্য এল কী করে? কেন পুলিশ এমন তথ্য গোপন করেছিল, তার কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পায়নি কোর্ট। তার পরেই বিচারপতি রহড়া থানার সাব–ইনস্পেক্টর সুব্রত সরকারকে শো–কজ় করে জবাব তলব করেন।