• আমি বিজেপি! ফোনে বিস্মিত ‘সদস্যই’, বিষয় বুঝতে স্ক্রুটিনির পথ
    এই সময় | ১৮ মে ২০২৫
  • এই সময়: বিজেপি–র ‘কমিটি সংস্কৃতি’তে নতুন সংযোজন। এ বার ভুয়ো কমিটি চিহ্নিত করতে তৈরি হলো নতুন এক কমিটি! যার কাজ জেলায় জেলায় ঘুরে দুধ থেকে জল আলাদা করা। অর্থাৎ, ভুয়ো বুথ কমিটি চিহ্নিত করে শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন নয়া কমিটির সদস্যরা।

    বহু বছর ধরেই বাংলার প্রায় ৮৫ হাজার বুথে কমিটি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। দলের শীর্ষনেতৃত্বের যুক্তি, বুথস্তরে মজবুত সংগঠন ছাড়া ভোটে জেতা অসম্ভব। তাই রাজ্যের যত বেশি সম্ভব বুথে কমিটি গড়তেই হবে।

    সেই লক্ষ্য পূরণে দিল্লি থেকেও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে যথেষ্ট চাপ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নেতারাও ঘাম ঝরিয়েছেন। শেষমেশ বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব হাজার পঞ্চাশেক বুথে দলীয় কমিটি তৈরির হিসেব তুলে দিয়েছেন দিল্লির দরবারে।

    পঞ্চাশ হাজার বুথ তো চাট্টিখা‍নি কথা নয়। হিসেব পেয়ে মনে মনে খুশিই হন দিল্লির নেতারা। তবু বুথ কমিটির হিসেবে গরমিল আছে কি না, সেটা তাঁরা একবার যাচাই করে দেখতে চান।

    সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিজেপি–র সদর দপ্তরের কল সেন্টার থেকে বাংলার বুথ কমিটির সদস্যদের মোবাইল ‍নম্বরে র‍্যান্ডম ফোন করা হয়। দেখা গিয়েছে, অনেকে ফোনই তুলছেন না। কেউ কেউ আবার জানাচ্ছেন যে, কস্মিনকালে বিজেপি করেননি! এরপরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, ভুয়ো বুথ কমিটিগুলি বের করে সেখানে দ্রুত কমিটি গড়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    রাজ্য–বিজেপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, ‘তাই দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল স্ক্রুটিনি কমিটি গড়ে দিয়েছেন। তারা ভুয়ো বুথ কমিটি খুঁজে বের করবে।’ সব ঠিক থাকলে স্বচ্ছ বুথ কমিটি গড়ার লক্ষ্যে ২৫ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য–নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করবেন।

    স্ক্রুটিনি কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে বর্ষীয়ান নেতা প্রবাল রাহাকে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা পার্টির সাংগঠনিক বিষয়। সংবাদমাধ্যমে কিছু বলব না।’

    তবে কমিটির অন্য এক সদস্যের কথায়, ‘মোদ্দা কথা হলো, জেলা থেকে বুথ কমিটির যে পরিসংখ্যান পেয়েছিলাম, সেটাই আমরা দিল্লিতে পাঠাই। এ বার স্ক্রুটিনি করে দেখা হচ্ছে, বুথ কমিটির হিসেব ঠিকঠাক আছে কি না। মৌখিক দাবির সঙ্গে কাগজপত্র মিলছে কি না, সেটাও তো দেখা দরকার।’

  • Link to this news (এই সময়)