• পরিবারের ৪ জনকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে দিয়েছিল, ছোট ছেলেকে ফাঁসির সাজা দিল মালদহ আদালত...
    আজকাল | ১৮ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: নজিরবিহীন খুনের ঘটনার রায় দিল মালদহ জেলা আদালত। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কালিয়াচক থানার ১৬ মাইলে একই পরিবারের চারজন খুন হন। খুন করার অভিযোগ ওঠে পরিবারের ছোটো ছেলে মহম্মদ আশিফের বিরুদ্ধে। সেই খুনের ১১০ দিন পর আশিফের দাদা মহম্মদ আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ মহম্মদ আশিফকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিঞ্জাসাবাদ করে বাড়ির ভিতরে একটি গোডাউনের মেঝে খুঁড়ে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে আশিফের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। 

    পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবা জাওয়াজ আলি, মা ইরা বিবি, বোন রিমা খাতুন, ঠাকুমা আলেকনুর বেওয়া এবং দাদা মহম্মদ আরিফকে খাইয়েছিল আশিফ। সেই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন সকলে। কিছুক্ষণ পর আরিফের জ্ঞান ফিরে আসলে আশিফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আরিফ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সেই সুযোগে শ্বাসরোধ করে বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে খুন করে, মেঝের মধ্যে একটি রিজার্ভারের মধ্যে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেয় আশিফ। এমনকী মেঝেটি সিমেন্ট বালি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। 

    দাদা আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ মেঝে খুঁড়ে চারজনের পচা গলা মৃত দেহ উদ্ধার করে। এরপরে আশিফ জেল হেফাজতেই ছিল। শনিবার মালদহ জেলা আদালতের জেলা মুখ্য দায়রা বিচরক শুভায়ু ব্যানার্জি আশিফকে ফাঁসির সাজা শোনালেন। 

    আশিফের আত্মীয় মরতুজ আলি বলেন, 'এই রায়ে আমরা খুশি। আমরা কোনও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব না।' সরকারি আইনজীবী দিবস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ঘটনাটি বিরলতম ঘটনা। এই ধরনের ঘটনায় আগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। এদিন ২০১, ৩০২, ৩০৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আমরা আবেদন করেছিলাম এই ধরনের ঘটনায় যাবজ্জীবন হলে পরবর্তী সময়ে সমাজে প্রভাব পরতে পারে। সেই কারণে কিল ডেথের রায় দেয় আদালত।' যদিও জেলা আইনি সহায়তার আইনজীবী নাসের আলি বলেন, 'আমরা ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।'
  • Link to this news (আজকাল)