বিহারে কর্মসূচিতে গিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে বাধা এবং দ্বারভাঙ্গা থানায় তাঁর নামে অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদে শনিবার কলকাতার অন্তত তিন জায়গায় পথে নামল কংগ্রেস। প্রতিটি জায়গাতেই কর্মসূচি হয়েছে যুব কংগ্রেসের নামে। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, এ দিনের পৃথক কর্মসূচিগুলির নেপথ্যে যে চার জন ছিলেন, সেই শাহিনা জাভেদ, অর্ঘ্য গণ, কাশিফ রেজা, সৌরভ প্রসাদেরা প্রত্যেকেই যুব কংগ্রেসের পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হওয়ার দাবিদার। এমন কর্মসূচি আদতে এআইসিসি-র ‘নেক নজরে’ থাকার চেষ্টা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তীব্র ছিল কংগ্রেসের অন্দরে। ঘটনাচক্রে, ওই চার নেতাকেই এ দিন রাতে রাজ্যে যুব কংগ্রেস পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন জাতীয় যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিবাদে দলের যুবনেত্রী শাহিনার নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ হয়েছে। শাহিনাদের অভিযোগ, ‘বিজেপির দালাল’ এই রাজ্যের পুলিশ তাঁদের ৫৬ জন কর্মীকে আটক করেছিল। একই বিষয়ে এবং বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষকদের উপরে পুলিশি হামলা, কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে বিজেপি নেতার কুমন্তব্যের প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর বিধান ভবন থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করেছে যুব কংগ্রেস। এখানে নেতৃত্বে ছিলেন অর্ঘ্য এবং কাশিফ। পাশাপাশি, যুব কংগ্রেসের রাজ্যের সহ-সভাপতি সৌরভের নেতৃত্বে যাদবপুর ৮বি থেকে যাদবপুর থানার মোড় পর্যন্তও মিছিল ও বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে যুব কংগ্রেস সংগঠনের এই রাজ্যের সভাপতি আজ়হার মল্লিককে বহিষ্কার করে এবং সেই দিনই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নিয়মে, মধ্যবর্তী পর্যায়ে নতুন কাউকে সভাপতি করতে গেলে সর্বশেষ সাংগঠনিক নির্বাচন থেকে উঠে আসা পদাধিকারীদের মধ্যে থেকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। সূত্রের দাবি, বাংলার সংগঠন থেকে শাহিনা, অর্ঘ্য, কাশিফ, সৌরভ-সহ পাঁচ জনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। জাতীয় যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব এই পাঁচ জনের ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়ার পরে পরবর্তী যুব সভাপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।