তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল মসৃণ হল না। প্রায় এক বছর আটকে থাকার পরে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে দলের শীর্ষে মতবিরোধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলা নেতৃত্বে রদবদল নিয়ে এই মতপার্থক্য দলের নীচের তলা এবং শাখা সংগঠনে বদলের প্রক্রিয়ায় বাধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দিন সাতেকের মধ্যে সেই সব নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা হওয়ার কথা। দলীয় সূত্রে খবর, কয়েক দফায় এই আলোচনা যে দিকে এগিয়েছিল, রদবদলে তার আংশিক প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা স্তরে জট আরও দানা বেঁধেছে। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, “এই অবস্থায় পরবর্তী পরিবর্তনের প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।”
জেলা কমিটির পরে দলের ব্লক, শহরের কমিটি গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, নতুন জেলা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নীচের দিকে কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু জেলা কমিটি নিয়েই ঐকমত্য না থাকলে, পরের কাজ আটকে যেতে পারে। দলের অন্য এক রাজ্য নেতা অবশ্য বলেন, “দলনেত্রী সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিবর্তন করেছেন। সব সিদ্ধান্ত সকলের পছন্দ না হলেও ভোটের আগে দল ঐক্যবদ্ধ ভাবেই কাজ করবে।”
গত বছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই রদবদল হবে কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে। দলের একাংশের মতে, কিছু ক্ষেত্রে কাজের নিরিখে নতুন মুখ আনা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়নি। ভোটের মুখে বলেই এই জটিলতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মনে করছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। দলে যে রদবদল হয়েছে, তা নিয়ে জেলা স্তরেও অসন্তোষ রয়েছে। তবে তাকে আমল দিতে চাইছেন না নেতৃত্ব।
এই রদবদলের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজ্য ও জেলা স্তরে, পুরসভা স্তরেও মুখ বদলের ভাবনা ছিল। কিন্তু এই মতানৈক্যের পরে তার দিন ক্ষণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।