এক হোটেলকর্মীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বানতলা চর্মনগরী লাগোয়া নলবন ভেড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজা মণ্ডল ওরফে বাবাই (৩৬)। তাঁর বাড়ি কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজা সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার মালঞ্চ এলাকার এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তার পরে সস্ত্রীক বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া কাঁটাতলা বাজারে কয়েক মাস ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। রাজা কাঁটাতলা বাজারেই সত্যজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির হোটেলে কাজ করতেন। দিন দুয়েক আগে সত্যজিতের বাড়িতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজার। চুরির অভিযোগ তাঁকে দোকান থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে সত্যজিৎ লেদার কমপ্লেক্স থানায় রাজার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগও দায়ের করেন।
তার পরেই এ দিন সকালে নলবন ভেড়িতে রাজার গলা কাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ডাব ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পাশ থেকে পুলিশ বিড়ির প্যাকেট, রুমাল ও জলের বোতলও উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে রাজাকে পরিচিত কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে থাকতে পারে। পুলিশ রাজার ফোনের কললিস্ট ও এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।