• সাঁতরাগাছিতে রদবদলের জেরে বাতিল বহু ট্রেন, ভোগান্তি যাত্রীদের
    আনন্দবাজার | ১৮ মে ২০২৫
  • দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে সাঁতরাগাছিকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত ৩০ এপ্রিল থেকে ওই স্টেশনের রেল ইয়ার্ডের ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে। চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রেললাইনকে কেন্দ্র করে চলা ওই কর্মকাণ্ডের জেরে শনিবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রেন বাতিল ছিল। এ দিন ১৪টি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ৫৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়। ফলে হয়রানির মুখে পড়েন বিপুল সংখ্যক যাত্রী। শনিবারের পরে আজ, রবিবারও ৬টি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ৩২টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।

    ওই কাজের জন্য গত ৩০ এপ্রিল থেকে দুশোটিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের একটা বড় অংশ বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরপাল্লার বাসে যাতায়াত করছেন বলে খবর। বাতিল হওয়া বিভিন্ন ট্রেনের কারণে হয়রানি ছাড়াও, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেসের অস্বাভাবিক দেরির কারণে বিশেষ ভাবে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। ওই ট্রেনটি গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সময়ে চলছে না বলে অভিযোগ। শনিবার পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে চলায় খড়্গপুর রেল ডিভিশনের পক্ষ থেকে আচমকা জানানো হয়, ট্রেনটি খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রা শেষ করবে। হাওড়া যাওয়ার বদলে খড়্গপুর থেকেই পুরী অভিমুখে রওনা দেবে সেটি। এর ফলে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই তাঁদের এক্স হ্যান্ডলে এ নিয়ে সরব হলে শেষমেশ রেল সিদ্ধান্ত বদলায়। পরে ঠিক হয়, ট্রেনটি খড়্গপুর থেকে হাওড়া যাবে। খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার নিশান্ত কুমার বলেন, “আমরা সমাজমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম-সহ সব মাধ্যমে ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলাম। যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয়, তাই একাধিক বার এসএমএস-ও করা হয়েছে। এত বড় নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ হচ্ছে। কিছু সমস্যা তো হবেই।”

    রেলের তরফে এই ব্যাখ্যায় যদিও সন্তুষ্ট নন যাত্রীরা। যে সব এক্সপ্রেস ট্রেন এক দিনের মধ্যে আসা-যাওয়ার সফর সম্পূর্ণ করে, তাদের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ ঘণ্টা দেরি হলে যাত্রীদের সফরের উপরে তার বিপুল প্রভাব পড়ে। কিন্তু রেল সেই সমস্যাকে ধর্তব্যের মধ্যে না আনায় যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে বলে অভিযোগ।

    হাওড়া স্টেশনের বিকল্প হিসাবে সাঁতরাগাছিকে গড়ে তোলার অঙ্গ হিসেবে ওই স্টেশনে প্রায় ১ লক্ষ বর্গমিটার পরিসরযুক্ত পাঁচতলা ভবন, পার্কিং লট এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়েকে যুক্ত করে র‌্যাম্প তৈরি হয়েছে। ওই স্টেশন ছাড়াও হাওড়া এবং শালিমার স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল মসৃণ করতে একটি দ্বিমুখী লাইন এবং একটি উড়ালপথকে যুক্ত করা হচ্ছে। রেল সূত্রের খবর, আগামিকাল সোমবার সকাল থেকে ওই পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)