শিক্ষকদের লাঠিপেটার ঘটনার পর এ বার থানায় তলব শুরু। অভিযোগ, বিধাননগর উত্তর থানা থেকে হাজিরার নোটিস ধরানো হচ্ছে একের পর এক শিক্ষককে। ২১ মে সকাল ১১টার মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে শনিবার বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের অবস্থানস্থলে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা গিয়েছিল। কেন বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হলো, সে প্রশ্ন তুলে আসরে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে তারা।
কী অভিযোগে এই তলব? নোটিসে লেখা রয়েছে, ১৬ তারিখ বিকাশ ভবনের সামনে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল, তাতে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি কর্মীদের জোর করে আটকে রাখার ধারা, কর্তব্যরত কর্মীদের হুমকি দেওয়ার ধারাও যুক্ত হয়েছে শিক্ষকদের নামে দায়ের হওয়া মামলায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে জানান, শুধু ২১ তারিখ নয়, কাউকে ১৯ তারিখ সোমবারও ডাকা হয়েছে। কেউ উপস্থিত থাকতে না পারলে, নতুন ধারা যুক্ত হবে। চিন্ময়ের প্রশ্ন, ‘এ ভাবে নোটিস দিয়ে যে ডাকা হচ্ছে, কারণটা কী? লাঠির বাড়ি খেলাম আমরা, রক্ত ঝরল, হাসপাতালে গেলাম, তীব্র যন্ত্রণায় কাতরালাম। চাকরিও নেই আমাদের। এখন আমাদের কেস দেওয়া হচ্ছে?’
আরেক চাকরিহারা শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা বলেন, ‘প্রতিবাদ করায় বেশ কয়েক জনকে চিঠি ধরিয়ে থানায় ডেকেছে। আমরা তো কোনও কিছুই করিনি। সাধারণ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছি। বরং ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জল-ওষুধ, সমস্ত কিছুর পরিষেবা দিয়েছি। তার পরও মিথ্যে কথা রটানো হয়েছে, এখন মিথ্যে কেস দিচ্ছে। তবে আমরাও আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরাও লিগ্যালি বিষয়টা দেখব।’