শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা রবিবার সকাল থেকেই। তমলুক টাউন ক্রেডিট সমবায় সোসাইটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ওই এলাকা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এর পর ঘটনাস্থলে আসে তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আসার কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ দিন সকালে তমলুকের শালগেছিয়া হাইস্কুলে নির্বাচন চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। বিজেপি প্রার্থী সুরজিৎ বেরা বলেছেন, ‘ওই ভোটকেন্দ্রের ভিতরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ঢুকেছেন। সেখানে থাকা সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীদের বের করে দিতে হবে। সমবায় কেন্দ্রের ভোটকে কেন্দ্র করে তমলুক শহরে শাসক দলের নেতা চঞ্চল খাঁড়া কোনও নিয়মকানুন মানেননি। যখন তখন তিনি পরিচয়পত্র ছাড়া ভোটকেন্দ্রে ঢুকেছেন। এ বিষয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পরই উনি আমাকে ঠেলে ফেলে দেন। তার পরেই ওনার সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়। কিন্তু তমলুক শাসক দলের নেতারা কখনই কোনও আইন মানেন না।’
এর জবাবে তৃণমূল প্রার্থী চঞ্চল খাঁড়া বলেছেন, ‘আমদের ১৩ জন প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এমন সময় আমি কেন বিনা পরিচয়পত্রে ভোটকেন্দ্রে ঢুকব? বিজেপি সব মিথ্যে অভিযোগ করছে। বুঝতেই পারছেন, এখানকার নির্বাচনে বিজেপি জিততে আসেনি। ওরা এখানে এসেছে শুধু বাজার গরম করতে।’
প্রসঙ্গত, তমলুক টাউন ক্রেডিট সমবায় সোসাইটিতে মোট আসন সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৫টি আসনে ভোট হচ্ছে। আর বাকি ১৩টি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ৪৫ আসনের মধ্যে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪টি আসনে।