দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রীর পরকীয়ায় কাঁটা স্বামী! তাই তাঁকেই পথ থেকে সরিয়ে দিল স্ত্রীর প্রেমিক! লেদার কমপ্লেক্স থানার নলবল ভেড়িতে যুবক খুনের তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্তও। শনিবার রাতেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।
ধৃতের নাম সন্ন্যাসী দোলুই। ভাঙড়ের তারদাহ কাপাসাটি গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত রাজা মণ্ডল ওরফে বাবাইয়ের স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সন্ন্যাসীর। এনিয়ে দুজনের মধ্যে একাধিকবার কথা কাটাকাটি হয়েছে। শুক্রবার রাতে আচমকাই বাবাইকে ফোন করে ডেকে পাঠায় সন্ন্যাসী। বলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করবে, কিছু কথাও আলোচনা করবে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নলবনের ভেড়িতে যান বাবাই। দুজনে মদ্যপান করেন। অভিযোগ, মদ খাইয়ে বাবাইকে বেহুঁশ করে দেয় সন্ন্যাসী। তারপর তার গলার নলি কেটে খুন করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে সন্ন্যাসী।
মৃত রাজা মণ্ডল ওরফে বাবাইয়ের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফটোর এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার মালঞ্চতে বাবাইয়ের শ্বশুরবাড়ি। গত চার মাস ধরে বাবাই বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া কাঁটাতলা বাজার এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন তিনি। ওই বাজারেই সত্যজিৎ মণ্ডলের ভাতের হোটেলে কাজ করতেন। এর মাঝেই হোটেল মালিক সত্যজিতের বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় বাবাইকে দায়ী করে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি লেদার কমপ্লেক্স থানায় তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগও দায়ের করেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই বাবাইয়ের দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। প্রথম থেকে পুলিশের সন্দেহ ছিল, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই বাবাইকে খুন করা হয়েছে। সেই সন্দেহেই সিলমোহর পড়ল এবার।