বাংলাদেশের স্থল বাণিজ্যে কাঁচি চালিয়েছে মোদি সরকার! কতটা প্রভাব পেট্রাপোল-ঘোজাডাঙায়?
প্রতিদিন | ১৮ মে ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ‘ভারত বিরোধী হাওয়া তোলা’ ইউনুসের বাংলাদেশের স্থল বাণিজ্যে কাঁচি চালিয়েছে মোদি সরকার। জারি করেছে নয়া বিজ্ঞপ্তি। রবিবার সেই নির্দেশিকার আংশিক প্রভাব পড়ল পেট্রাপোলে। তবে ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরে স্বাভাবিক রয়েছে বাণিজ্য।
শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশি পোশাক, খাবার-সহ একগুচ্ছ জিনিস আর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে না। নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, প্যাকেট জাতীয় পানীয়, কাঠের আসবাবপত্র-সহ কিছু সামগ্রী অসমম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়-সহ এ রাজ্যের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। তৈরি হওয়া বস্ত্র এবং সুতির থান পেট্রাপোল-সহ কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি হবে না ৷ শুধুমাত্র কলকাতা ও মুম্বই বন্দর দিয়ে সেগুলো এদেশে আসবে। এই নির্দেশিকার প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোল বন্দরে ৷ প্রসঙ্গত, এই বন্দর দিয়ে দৈনিক যে পণ্য আমদানি হয় তার মধ্যে ৪০ ভাগই বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও সুতিরসামগ্রী। সেই সামগ্রী না এলে সরাসরি প্রভাব পড়বে পেট্রাপোল শ্রমিক মজদুর ও ব্যবসায়ীদের উপর।
এ প্রসঙ্গে পেট্রোপালের ব্যবসায়ী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “পেট্রাপোল সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। এখান দিয়ে বস্ত্র আমদারি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় প্রচুর ব্যবসায়ী, যারা লজিস্টিক সাপোর্ট দিতেন তাঁদের বিরাট ক্ষতি হবে। তবে বাংলাদেশেরও বোঝা উচিত। ওদের কাছে আমরা ভিলেন হয়ে গেছি! কিন্তু ওদের স্বাধীনতায় আমাদের কতটা অবদান আছে, তা ওরা ভুলে গিয়েছে। তাই ওদের শিক্ষা দেওয়াটা দরকার।”
তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার তেমন একটা প্রভাব পড়ল না ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘোজাডাঙায়। অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক পরিষেবা। সকাল থেকেই এদেশের পণ্যবাহী ট্রাক গিয়েছে ওদেশে। আবার ওদেশের পণ্যবাহী ট্রাক এসেছে এদেশে। ফলে বলা যায়. আপাতত এই সীমান্ত দিয়ে কার্যত দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিক। সকাল থেকে প্রায় ১০০ গাড়ি গিয়েছে। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আশঙ্কা ও উদ্বেগে রয়েছে সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত গাড়ির চালক থেকে খালাসি এবং ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, যদি এই পথের মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে না সমস্যা পড়তে হবে দিনমজুরদের। এ প্রসঙ্গে বসিরহাট ঘোজাডাঙ্গা ঘোজাডাঙ্গা কিলিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জিব মণ্ডল-সহ বহু ব্যবসায়ীরা জানান, “সবার আগে আমার দেশ। সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।” সবমিলিয়ে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভুগছেন নয়া বিজ্ঞপ্তির জেরে।