চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আন্দোলনে কি রাজনীতির রং লাগছে? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষকদের অবস্থানে একাধিক রাজনৈতিক নেতার আনাগোনায় উঠছিল প্রশ্ন। রবিবার সন্ধ্যায় যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো কোনওভাবেই তাঁরা এই আন্দোলনে রাজনীতির রং লাগতে দিতে চান না। কোনও রাজনৈতিক নেতাকে তাঁদের তরফে ডাকা হয়নি বলেও জানান সংগঠনের আহ্বায়ক মেহবুব মণ্ডল। পাশাপাশি রাজ্যের প্রথমসারির প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলিকে বিশেষ টাস্কও দেওয়া হয়। শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা চাই যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে আউটস্ট্যান্ডিং মার্কস দিতে, তার থেকেই যদি কিছু বেশি থাকে, প্লাস… প্লাস… প্লাস… দিতে চাই।’
সাংবাদিক বৈঠকে মেহবুব এ দিন বলেন, ‘আমাদের মঞ্চের তরফে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে ডেকে পাঠানো হয়নি। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই আমাদের প্রতি সহানুভূতি দেখতে চাইছে।’ তাঁদের আন্দোলন ‘রাজনীতিমুক্ত’ হোক, সেটাই চাইছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তাঁদের বিশেষ বার্তা তুলে ধরা হয় এ দিন।
শাসক দল তৃণমূলের উদ্দেশে মেহবুবরা জানান, তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিক। যোগ্য চাকিরহারাদের কথা তাঁর কাছে জানানো হোক। প্রয়োজন পড়লে এই বিষয় সংসদে উত্থাপিত করে আলোচনার আহ্বান জানানো হোক।
পাশাপাশি, বিজেপি বিধায়ক, সাংসদরাও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুর্নর্বিবেচনা চেয়ে আর্জি জানাক বলে দাবি করেন তাঁরা। বিজেপি সাংসদরায় তাঁদের সঙ্গে হওয়া ‘অন্যায়’ নিয়ে পার্লামেন্টে আওয়াজ তুলুক, সেটাই চাইছেন আন্দোলনকারীরা।
বিধানসভা বা লোকসভায় সিপিএমের কোনও জনপ্রতিনিধি না থাকায় বাম দলের জন্য ভিন্ন টাস্ক দেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। মেহবুব বলেন, ‘আপনাদের বিধায়ক নেই। তবুও আপনারা আওয়াজ তুলুন। সুপ্রিম কোর্টে প্যানেল বাতিলের দাবি তুলেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। আমাদের টাস্ক রিভিউ পিটিশনের সময়ে যেন উনি বলেন প্যানেলের পৃথকীকরণ অথবা রিপ্যানেল চাই। শুনানির সময় বলুন যে আমরা প্যানেল বাতিল চাই না।’