• ‘আমাকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলেন…’, পদ হারিয়েও আনুগত্য বোঝালেন অনুব্রত?
    এই সময় | ১৯ মে ২০২৫
  • পদ নেই। তবে বৈঠকে ছিলেন। বীরভূম জেলা কোর কমিটির বৈঠকের পর দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা গেল প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কেষ্টর স্পষ্ট বার্তা, ‘আমার কোনও পদ প্রয়োজন নেই। আমি মানুষের কাজ করে যেতে চাই।’ পদস্খলন কি আক্ষেপের জন্ম দিয়েছে? দল পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করছে? জেল ফেরত অনুব্রত’র জবাব, ‘জেল যখন খেটেছি অন্য দলে যাব না। অন্য দলে যাওয়ার হলে জেল খাটতাম না।’

    দু’দিন আগেই জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, বীরভূমে জেলা সভাপতি পদটাই তুলে দেওয়া হয়েছে। সংগঠন সামলাবে কোর কমিটি। দীর্ঘদিন কোর কমিটির বৈঠক না হওয়ায় তৈরি হয়েছিল জল্পনা। রবিবার বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে গেলেন অনুব্রত। নিজের বক্তব্যও রাখলেন। 

    বৈঠক শেষ হতেই কেষ্টকে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা। উঠে আসে সভাপতি পদ হারানোর প্রশ্ন। তাঁর জবাব, ‘পদ না পেলে আমার অম্বল হবে এরকম ধরনের মানুষ নই। আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার সদস্য করতে চেয়েছিলেন। তখনই হয়ে যেতাম। অনেক আগেই বিধায়ক বা সাংসদ হয়ে যেতাম। পদের মায়া আমি করি না।’ ২৬-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল স্তরে দলকে চাঙ্গা করার দায়িত্বেই নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন সেই কথাই বুঝিয়ে দেন অনুব্রত। 

    দলনেত্রীর কাছে তাঁর যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সে কথা ফের প্রমাণিত হয় রবিবার। কোর কমিটির বৈঠকের মাঝেই অনুব্রতকে ফোন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা স্পষ্ট করে বলতে চাননি কেষ্ট। শুধু এটুকু বলেন, ‘দিদি আমায় বলেছেন, আমার যে কর্মসূচি রয়েছে সেগুলি চলবে। আমাকে কোর কমিটির বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়। বলেছি, আমি ডাকব না। আশিস দা (কোর কমিটির আহ্বয়াক) আছেন উনি ডাকবেন।’

    পদ হারালেও অনুব্রতর দাপট কি থাকবে? ছাব্বিশের আগে সংগঠনের রাশ কি নিজের হাতেই রাখবেন অনুব্রত? কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্বের ইতি? জেলার চেয়ারপার্সন এবং ডেপুটি স্পিকার অবশ্য বলেই দিলেন, ‘দলের আর কোনও বিভাজন নেই। বৈঠকে সম্মিলিত ভাবে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেইমতোই জেলায় দল চলবে।’

  • Link to this news (এই সময়)