শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের নাম ঘোষণা হয়েছে। বড় কোনও রদবদল হয়নি সেই তালিকায়। অনেকেই বলছেন, দলের পুরোনো নেতৃত্বের উপরেই ভরসা রেখেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই প্রসঙ্গ টেনে দলকে কি বার্তা দিলেন দিলীপ?
খড়্গপুরে একটি কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তৃণমূলের নবগঠিত সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ বলেন, ‘পুরানো লোকেরা মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। এই পুরানো আর নতুনের মধ্যে যে ঝগড়া চলছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোনোদের উপরই ভরসা রেখেছেন...পুরোনো লোকেরাই পার্টির ভরসা!’
সম্প্রতি বিজেপির কর্মসূচিতে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না দিলীপকে। না মিটিং-মিছিল, না সভা-সমাবেশ! দলের বৈঠকেও ডাক মিলছে না ইদানীং। মমতার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেই নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দিলীপের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতির মহলের একাংশ।
এই প্রসঙ্গ উঠতে কিছুটা এড়িয়েই যান দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘এই ধরনের বৈঠক লেগেই থাকে। মাসে একবার বা দু’বার হয়। এই বৈঠকে আমার যাওয়ার কথা নয়। পদাধিকারীরা থাকেন।’
২০২৪-এ লোকসভা ভোটে বাংলায় আসন কমেছে বিজেপির। তারপরই ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন দিলীপ। দাবি করেছিলেন, পুরোনোদের গুরুত্ব না দিলে এমনটাই হবে। এ বারও তাঁর মুখে পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়ার কথাই শোনা গেল।
তবে দিলীপের সঙ্গে একমত নন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক সুজয় হাজরা। তাঁর কথায়, ‘নতুন প্রজন্মকে সামনে না আনার জন্য বামফ্রন্ট শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের দলে নবীন-প্রবীণকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। দিলীপবাবু হয়তো ব্যক্তিগত হতাশা থেকে এই কথাটা বলেছেন। আমরা একমত নই!’