মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ! কবর খুঁড়ে বের করা হল শিশুর মৃতদেহ, কালনায় শোরগোল...
আজকাল | ১৯ মে ২০২৫
মিল্টন সেন: মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ। শেষ পর্যন্ত কবর খুঁড়ে তুলতে হল শিশুকন্যার মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কালনার, হাটগাছা গ্রামে। জানা গিয়েছে, ২২ দিন আগে এলাকারই তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল জলে ডুবে। মাটিতে পুঁতে দেহ সৎকার করা হয়েছিল ত্রিবেণী শ্মশানঘাটে। তখনই মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ওই শিশুর ঠাকুমা অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে সেই মৃত দেহ তুলে ময়না তদন্তে পাঠানো হল।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ওই শিশুর ময়নাতদন্ত হবে। হুগলির ত্রিবেণী শ্মশান ঘাট থেকে শিশুকন্যার দেহ মাটি খুঁড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল কালনার হাটগাছার বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে। কালনা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। তারপর ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে দেহ সৎকার করা হয়। কিন্তু তার পরেই পরিবারের মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধে। শিশুকন্যার ঠাকুমা শিখা ঘোষালের সন্দেহ তাঁর নাতনিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
সেই মর্মে গত ৬ জুন কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই মামলা পৌঁছায় কালনা আদালতে। গত ১৬ মে আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনে রবিবার ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে মাটি থেকে মৃতদেহ বের করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুকন্যার বাবা সুরজিৎ ঘোষাল জানান, ‘জলে ডুবে মৃত্যু হলে দেহে সাধারণত যে ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় সেটা সঞ্চিতার শরীরে দেখা যায়নি। মেয়ে প্রায়ই পাশের বাড়িতে খেলতে চলে যেত। বারবারই ওকে ডেকে খু্ঁজে আনতে হত’। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বা পরিবার কীসের সন্দেহ করছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি ওই শিশুকন্যার পরিবার।