• এবার ঘটনাস্থল বর্ধমান, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসা সমেত আটক ইরানি নাগরিক...
    আজকাল | ১৯ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মন্তেশ্বরের পর এবার বর্ধমানে আরও এক ইরানি নাগরিক ধরা পড়ল। জানা গিয়েছে, ধৃত ইরানি নাগরিকের নাম মাজিদ মহম্মদ হোসেনি (৫০)। তাঁকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কাঁটাপুকুরের একটি হোটেল রুম ভাড়া নিতে যায় ধৃত ইরানি নাগরিক মাজিদ। হোটেলের ম্যানেজার তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে দেখা যায় ওই ব্যক্তির ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে। এরপর হোটেল ম্যানেজার বর্ধমান থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

    কিন্তু ভাষা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ইরানি নাগরিকের  সমস্যা হয়। তারপর গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে কথপোকথন চালিয়ে পুলিশ  জানতে পারে ইরানের তেহরানে বাড়ি ওই ব্যক্তির। ধৃত পুলিশকে জানান, দিল্লিতে তিনি থাকেন। দিল্লি থেকে গাড়ি করে কলকাতা এসেছিলেন। ফের রওনা দিচ্ছিলেন দিল্লির উদ্দেশেই। কিন্তু মাঝরাস্তায় ক্লান্ত বোধ করায় বর্ধমানের একটি হোটেলে ঘরভাড়া নিতে গিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই, পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরেনার অ্যাক্টে মামলা রুজু করে(১৪সি) গ্রেপ্তার করেছে। বর্ধমান আদালতের বিচারক তাঁকে দু'দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ মে ধৃতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পুলিশ দুই ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। ধৃতদের নাম আলি মাহাবুবি ও তাঁর ছেলে আমির আব্বাস মাহাবুবি। তাঁদের বাড়ি ইরানের তেহেরানের খানিয়াবাদে। অভিযোগ, শুক্রবার ধৃতরা খদ্দের সেজে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের হোসেনপুর গ্রামে একটি সোনার দোকানে যায়। দরদাম করতে করতে হঠাৎই সোনার তিনটি নাকছাবি এবং একটি কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সেখানেই আটক করা হয় ওই বাবা ছেলেকে। তাদের কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট এবং প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার করে পুলিশ। তবে গত দু'দিনে বর্ধমান জেলায় পরপর তিনজন ইরানি নাগরিক ধরা পড়ায় বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রশাসন।
  • Link to this news (আজকাল)