প্রসেনজিত্ মালাকার: জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দলে বড় কোনও পদ পাননি। জেলা সভাপতির পদটাও গিয়েছে। তার থেকেও বড় বিষয় হল বীরভূম জেলা চালাবে তৃণমূলের একটি কোর কমিটি। কাজল শেখেরও একছত্র থাকবে না। এমন এক পরিস্থিতিতে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বীরভূম তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তৃণমূলের কোর কমিটি থাকলেও বহুদিন তার বৈঠক হয়নি। রবিবার সেই কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন দেলের চেয়ার পার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে যোগ দেন অনুব্রত মণ্ডল। ছিলেন তাঁর ঘোর বিরোধী কাজল শেখ। এদিন বৈঠক চলাকালীন অনুব্রতকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে, অনুব্রতকে সবার সঙ্গে মানিয়ে চলার পরামর্শ দেন দলনেত্রী। কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৬ সালের নির্বাচন পরিচালনা করাবে কোর কমিটিই।
এদিন বৈঠক নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, পদের মায়া আমি করি না। পদ না পেলে আমার অম্বল হয়ে যাবে এমনটা নয়। চাইলে আমি আগেই এমএলএ এমপি হয়ে যেতে পারতাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে নিজে রাজ্যসভার এমপি হতে বলেছিলেন। আমি হয়নি। জেল যখন খেটেছি তখন অন্য দলে যাব না। অন্য দলে গেলে তো আর জেল খাটতে হত না।
এদিন কোর কমিটির বৈঠক শেষে কাজল শেখ বলেন, বৈঠক একশো শতাংশ সফল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। বীরভূম জেলা চালাবে কোর কমিটিই। বিষয়টিতে সিলমোহর দিয়েছেন দলনেত্রী। বিগত দিনে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে। ভবিষ্যতেও দেখা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করব। নেতা হবার লোভ আমার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দেবেন তা পালান করাই আমার কাজ।
বৈঠক নিয়ে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুব সৌহার্দপূর্ণভাবে আলোচনা হয়েছে। দল ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলছে ও চলবে। দলের সবাই তাদের মতামত রেখেছেন। সবাই একসুরেই কথা বলেছেন।
এদিকে, কোর কমিটির বৈঠক হল বটে তবে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ দ্বন্দ্ব মিটল কিনা তা বোঝা গেল না। যদিও কাজল শেখ বলছেন আগামীতে একমঞ্চে তাদের দেখা যাবে। তবে প্রশ্ন থেকে গেল দ্বন্দ্ব মেটানো কি সম্ভব হবে? তবে কোর কমিটি আগামীতে সব সিদ্ধান্ত নেবে।