বণিক সম্মেলন থেকে প্রশাসনিক বৈঠক, একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে সোমে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিদিন | ১৯ মে ২০২৫
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সপ্তাহের প্রথম দিনই উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে তিনি দীনবন্ধু মঞ্চে সিনার্জি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনদিনের এই সফরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার ফুলবাড়ির ভিডিওকন মাঠে সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠান, বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন ঘিরে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখন থেকেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে শহর শিলিগুড়িকে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। সেখান থেকে দীনবন্ধু মঞ্চে উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। উত্তরের শিল্পের সম্ভাবনা নিয়েই এই বৈঠক। দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে উত্তরবঙ্গে শিল্প সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে পর্যটন শিল্প, চা শিল্প, হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের নানাদিক তুলে ধরা হবে। তাই উত্তরবঙ্গেই সিনার্জির আয়োজন করা হয়েছে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের প্রস্তাব শোনার পাশাপাশি সমস্যার কথাও শুনবেন। এছাড়া আগামী দিনে শিল্পের বিস্তারে রাজ্য সরকারে কী পরিকল্পনা, তাও তুলে ধরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা যেতেই পারে, মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে উত্তরবঙ্গে শিল্প বলয়ে এবার বড় বিনিয়োগ আসতে চলেছে।
পরদিন, মঙ্গলবার ফুলবাড়ির ভিডিওকন মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার মানুষের কাছে নানা জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেবেন। এছাড়া প্রচুর প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এই অনুষ্ঠানটি প্রথমে ওদলাবাড়িতে হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে ফুলবাড়িতে করা হচ্ছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক সারবেন। উত্তরের সব জেলাকে নিয়েই এই বৈঠক করবেন। মালদহ ও দুই দিনাজপুর ভারচুয়ালি যোগ দেবে।
এই তিনদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন উত্তরকন্যার পাশে কন্যাশ্রীতে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি দেখতে রবিবার ফুলবাড়িতে হাজির হন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। পরিদর্শন শেষে খগেশ্বর রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আসা মানেই উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়া। তার আসার জন্য উত্তরবঙ্গবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কারণ, তিনি কখনও খালি হাতে আসেন না। যখনই আসেন উত্তরে উজাড় করে দিয়ে যান। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী এতবার উত্তরবঙ্গে আসেনি।” এখন মুখ্যমন্ত্রীর পথ চেয়ে রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী।