• রেলের সরঞ্জাম সরবরাহ না করেই ৫৬ কোটির আইটিসি নেওয়ার অভিযোগ, দুই সংস্থা চিহ্নিত
    বর্তমান | ১৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রেলের সরঞ্জাম সরবরাহ না করে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি নেওয়ার অভিযোগে দুই সংস্থাকে চিহ্নিত করল শিলিগুড়ি সিজিএসটি বিভাগ। ৫৬ কোটি টাকা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে। সিজিএসটি একটি প্রেস বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে এ খবর দিয়েছে। 

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে ওই দুই সংস্থা রেলের পরিকাঠাম গড়ার জন্য একাধিক সামগ্রী সরবরাহ করার বরাত পেয়েছিল। তবে কোনও জিনিস না দিয়েই ৫৬ কোটি টাকার আইটিসি নিয়ে নেয় বলে জানতে পারেন সিজিএসটি বিভাগের গোয়েন্দারা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার সময়ে সমস্ত কারচুপি একেএকে ধরা পড়ে। এরপর ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে দপ্তর। 

    শিলিগুড়ি সিজিএসটি এবং সিএক্স কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, একটি অংশীদার সংস্থাকে সরঞ্জাম সরবরাহ করার বরাত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অন্য অংশীদারের কাজের বিল দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে চুক্তি উলঙ্ঘন করা হয়েছে। সামগ্রী সরবরাহ না করেই ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট গ্রহণ করছে। বিষয়টি বুঝতে পেরেই সমস্ত হিসেবপত্র দেখার পর ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে দপ্তর। 

    দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই সংস্থা বাদ দিয়ে আরও কিছু সংস্থা জাল আইটিসি গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে একটি সংস্থা কোনও কাজ না করেই ১১ লক্ষ টাকার জাল ইনপুট ট্যাক্স নিয়েছে। একইভাবে অন্য আরও একটি সংস্থাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা সকলেই সরকারি নিয়ম উলঙ্ঘন করে ব্যবসার ভুল হিসেব দেখিয়ে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার জাল ইনপুট ট্যাক্স গ্রহণ করেছে। সবক’টি সংস্থার বিরুদ্ধেই ধাপে ধাপে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে দপ্তর। দপ্তরের দাবি, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের প্রাপ্য কর না দিয়ে জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়া সংস্থাগুলিকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে নজরদারির আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, কোনও সংস্থা যাতে কোনওভাবেই বরাত পাওয়া কাজ না করে জাল নথিপত্র দেখিয়ে বিল সংগ্রহ করে নেয়। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

    শিলিগুড়ি জিএসটি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে একটি-দু’টি নয় প্রচুর সংস্থার সমস্ত ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট এবং আয়-ব্যয়ের হিসেব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে কোনওভাবেই কর ফাঁকি না দেওয়া হয় সেদিকে নজর রাখছেন দপ্তরের গোয়েন্দারা।  
  • Link to this news (বর্তমান)