সংবাদদাতা, মালদহ: ত্রেতা যুগে রামচন্দ্রকে নিয়ে সীতা মালদহের গৌড়ে বর্তমান গয়েশ্বরী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মাতৃকূলে পিন্ড দান করেছিলেন। এমনই ভাবাবেগ এবং বিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তারপর থেকে ওই জায়গা মাতৃগয়া নামে পরিচিত হয়। জেলার ঐতিহ্যবাহী রামকেলি মেলার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত ওই স্থান দর্শন এবং মাতৃপিন্ড দিতে আসেন। গয়েশ্বরী মন্দিরে রামচন্দ্রের বিগ্রহ থাকলেও এতদিন সীতার ছিল না। সেই অভাব অনুভব করে জেলার বাসিন্দা মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি কমলেশ বিহানী মন্দিরে তিন ফুটের পাথরের সীতার বিগ্রহ স্থাপন করেন। রবিবার ওই বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দির ফুল দিয়ে সাজিয়ে পুজোর পর ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে এদিন।
কমলেশ বলেন, ত্রেতা যুগে মা সীতা তাঁর পিতা জনক রাজার পিন্ডদান করেছিলেন। গয়েশ্বরীতে এটা কথিত রয়েছে। সেখানে সীতার বিগ্রহ ছিল না। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বিগ্রহ দেওয়ার। এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পাথরের বিগ্রহটি আনা হয়েছে রাজস্থান থেকে।
তিনি যোগ করেন, জেলার গৌড় অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। সেখানে মদনমোহন মন্দির দেখার জন্য অনেকে আসেন। গয়েশ্বরী মন্দিরের সামনে জেলাশাসক একটা রাস্তা করে দিয়েছেন। পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।
গয়েশ্বরী মন্দিরের পক্ষে বাপি ঘোষ বলেন, কমলেশবাবু সীতা দেবীর বিগ্রহ দান করেছেন। জেলার মার্চেন্ট চেম্বার থেকে প্রচুর সদস্য এসেছেন। আগামী দিনে পুজো আরও বড় করে হবে।
এদিন উপস্থিত ছিলেন মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক উত্তম বসাক, সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু সহ অন্যরা। - নিজস্ব চিত্র