• শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার মাঠের বিতর্কিত ভাঙা গেট সরাল বিশ্বভারতী
    বর্তমান | ১৯ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: অবশেষে শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল অফিস সংলগ্ন পৌষমেলার মাঠের বিতর্কিত ভাঙা গেটের কাঠামো সরাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ‌শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মেলার মাঠে পাঁচিল তোলার ঘটনায় স্থানীয় জনতা মেলার মাঠে প্রবেশের গেট ও ফটক ভেঙে ফেলেছিল। ‌সেই গেটের একটি অংশ ও ইট-সিমেন্টের চাঁই একত্রিত করে ‘ঐতিহাসিক সাক্ষী’ লিখে মেলার মাঠের এক কোণে সাজিয়েছিলেন প্রাক্তন বিতর্কিত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ‌যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক ঐতিহ্যের পরিপন্থী। সেই বিতর্কিত কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, আধিকারিকরা। কিন্তু, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যরা সেই সাহস দেখাননি। নতুন উপাচার্যের নজরে আসতেই কাঠামোটি তৎক্ষণাৎ সরানোর নির্দেশ দেন। উপাচার্যের এই পদক্ষেপে খুশি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তনী ও আশ্রমিকরা। 

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে পৌষমেলার পূর্বপল্লির মাঠ ঘেরার উদ্যোগ নেয় বিশ্বভারতী। এতে প্রবল আপত্তি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তা তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ জনতা ১৭ আগস্ট সেই মাঠের পাঁচিল সহ জেসিবি মেশিন দিয়ে একটি ফটকের গেট ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পাঁচিল তোলা হলে বিদ্যুৎবাবু ওই ভাঙা গেট মেলার মাঠের প্রবেশপথে স্থাপন করে তা ঐতিহাসিক সাক্ষী বলে উল্লেখ করেন। বিষয়টি অত্যন্ত কুরুচিকর বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। এমনকী, বিদ্যুৎ বিদায়ের পর বিষয়টিতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে রবীন্দ্রভবনের পক্ষে স্পেশাল অফিসার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে চিঠিও লেখেন। তবে তিনি বা তাঁর পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যরা সেই কাঠামো সরানোর ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেননি। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য সেই কাজটি করলেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, ভাঙা গেটের ওই কাঠামোর বিরুদ্ধে অনেকেই সরব ছিলেন। বিষয়টি উপাচার্যকে জানাতেই তিনি তা সরানোর নির্দেশ দেন। তার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সেগুলি সরিয়ে দিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)