• শাড়ি ব্যবসার আড়ালে জাল নথি তৈরির কারবার, গ্রেপ্তার
    বর্তমান | ১৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শাড়ি ব্যবসার আড়ালে চলছিল জাল আধার, ভোটার কার্ড তৈরি। সেই নথি জমা করে নেওয়া হচ্ছিল ব্যাঙ্ক ঋণ। ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলছিল এই কাজ। শেষ পর্যন্ত চক্রের এক পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল লালবাজার। প্রদীপ ভাদানি নামে ওই অভিযুক্তকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে মধ্য কলকাতা থেকে।

    বেসরকারি ব্যাঙ্কে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থায় কর্মরতদের একাংশ ঋণ নিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্ত করছে লালবাজার। কিন্তু কে বা কারা আধার, ভোটার প্যান সহ বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করে তাঁদের দিল, তার খোঁজ শুরু হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এক রেলকর্মীর মোবাইলের সূত্র ধরে প্রদীপ বলে একজনের নাম পাওয়া যায়। খোঁজখবর করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই প্রদীপই ভুয়ো নথি তৈরি করছেন। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ঋণ দেওয়ার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের যোগাযোগ রয়েছে।

    অভিযুক্ত প্রদীপের শাড়ির দোকান রয়েছে। সে বিভিন্ন লোকজনকে বলত, কারও ব্যাঙ্কে ঋণ লাগলে সে ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। সেই সুবাদে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থায় কর্মরতদের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়। তাঁদের সকলের বেতনের ভুয়ো স্লিপ, জাল আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করে দেয়। তারপর ব্যাঙ্কে তা জমা করা হয়। ঋণ অনুমোদনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের একাংশের সঙ্গে যোগ থাকায় ওই নথি যাচাই করা হয়নি। এমনকী ঋণ গ্রহীতাদের ঠিকানাতেও যাননি ব্যাঙ্কের কর্মীরা। তবে ঋণ পেয়ে যান কেন্দ্রীয় সংস্থায় কর্মরতরা। এর বিনিময়ে কমিশন পেত অভিযুক্ত প্রদীপ। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সে ভুয়ো নথি তৈরির কারখানা খুলেছিল। অভিযোগ, এই নথির ভিত্তিতে সে একাধিক ব্যক্তিকে ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দিয়েছে। ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে, ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)