দীর্ঘদিন ধরে যশোর রোডে বেহাল সিসি ক্যামেরা, নজরদারির অভাব
বর্তমান | ১৯ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দুর্ঘটনাপ্রবণ যশোর রোড। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় নজরদারি চালিয়ে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বারাসত ও মধ্যমগ্রামে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। কিন্তু সেই ক্যামেরাগুলির সিংহভাগই বর্তমানে বেহাল অবস্থায়। কোনওটার মাথা নীচের দিকে নামানো, কোনওটার উপরের দিকে। অনেক ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরার তার ছেঁড়া। ফলে, কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না, তা মেনে নিচ্ছে পুলিসমহলের একাংশ। শুধু যশোর রোডেই নয়, বারাসতের ডাকবাংলো থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বসানো বেশ কিছু ক্যামেরাও বেহাল বলে অভিযোগ।
সম্প্রসারণের পর যশোর রোড এখন চার লেনের হয়েছে। ফলে গাড়ির গতি এবং সংখ্যা- দুটোই আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। দিনরাত ব্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দুর্ঘটনাপ্রবণও বটে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বেপরোয়া গতির গাড়ি চলাচল। সকালে, বিকেলে অফিসের সময় যশোর রোডে যাত্রী তোলা নিয়ে চলছে বাসগুলির মধ্যে রেষারেষি। এছাড়াও বেপরোয়া গতিতে চলছে ডাম্পার থেকে ট্রাক। এর ফলেই মাঝেমধ্যে ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। কিন্তু এগুলির উপর নজরদারি চালানো এবং রুখে দেওয়ার জন্য বসানো সিসি ক্যামেরাগুলিই বেহাল।
মধ্যমগ্রাম চৌমাথার পর মেঘদূত মোড় থেকে বারাসত পর্যন্ত যশোর রোডের দু’ধারে একাধিক শপিং মলের নিজস্ব কোনও পার্কিং জোন নেই। ফলে যশোর রোডের ধারেই ক্রেতাদের বাইক কিংবা গাড়ি পার্ক করতে হয়। এর জেরেও রাস্তার এই অংশে দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি বিমানবন্দর থানার ৩ নম্বর গেট, দোলতলা সহ যশোর রোডেই তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু এই বেআইনি পার্কিংয়ের উপর নজর রাখার জন্য বসানো ক্যামেরার অনেকগুলিই এখন কাজ করে না।
রাতের যশোর রোডের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে ওঠে। একটু রাত বাড়তেই বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চলাচল শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যশোর রোডে এই বেপরোয়া গতির গাড়ির উপর রাশ টানতে ট্রাফিক পুলিসের নজরদারির অভাব রয়েছে। পাশাপাশি রাস্তাটিতে বসানো সিসি ক্যামেরা হাল দেখেও উদ্বিগ্ন মানুষ। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার বেহাল দীর্ঘদিন। স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই মল্লিক, সুদর্শন নন্দীরা বলেন, এখানকার বেশ কিছু ক্যামেরা যে খারাপ, তা অনেক দিন ধরেই দেখছি আমরা। কারণ, ক্যামেরাগুলির তার কেটে ঝুলছে রাস্তায়। শুধু মধ্যমগ্রাম বলে নয়, যশোর রোডে অনেক ক্যামেরার এমনই হাল!
এনিয়ে বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে ফোন ও মেসেজ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।