• খুদে হাতে রঙিন মাটি, তৈরি হল থ্রিডি পতাকা-গাছের পাতা-পাখি
    বর্তমান | ১৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছোট ছোট আঙুলে একটু মাটি তুলে মন দিয়ে গাছের পাতা তৈরি করছিল সান্নিধ্যা। তার মাঝেই বলল, ‘স্যার, এই জায়গাটা হচ্ছে না।’ স্যার এসে সবুজ রঙের মাটি দিয়ে পাতা একটু ঠিকঠাক করে দিলেন। আন্তর্জাতিক যাদুঘর দিবসের সকালে বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) সান্নিধ্যার সঙ্গে দেখা। বিশেষ দিনটিতে বিআইটিএম ‘বিজ্ঞান ও স্থাপত্য’ নামে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল। সেই কর্মশালায় সান্নিধ্যার মতো এসেছিল আরও অনেক শিশু। শিল্পকর্ম গড়তে তাদের উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

    প্রত্যেক পড়ুয়াকে ছোট ক্যানভাস দিয়েছিল বিআইটিএম। তার উপর কেউ এঁকেছে পাখি, কেউ গাছ, কেউ ভারতের পতাকা। তার উপর মাটির প্রলেপ দিয়ে থ্রিডি করা হচ্ছে সেগুলি। বিআইটিএমের এক আধিকারিক বলেন, ‘টুডি ছবি আঁকার চল বেশি। এখন তো রঙিন মাটি কিনতে পাওয়া যায়। তা কাদা হয় না, হাতে লেগে থাকে না। এই মাটি দিয়ে থ্রিডি ছবি আঁকছে ওরা। যার ফলে থ্রি ডায়মেনসন বিষয়টা ওদের কাছে একদম পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সেটা চোখে দেখে, হাতে স্পর্শ করে বুঝতে পারছে।’ ফিউচার ফাউন্ডেশনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সান্নিধ্যা দাশগুপ্ত। রঙিন মাটি নিয়ে ক্যানভাসে আঁকা গাছের পাতা তৈরি করেছে সে। বলে, ‘আগে কখনও এরকম করিনি। খুব মজা হচ্ছে। এখান থেকে শিখে গেলাম। বাড়িতে গিয়ে আরও তৈরি করব।’ 

    হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ঈশিকা ঘোষ এর আগে থ্রিডি পেন্টিং বাড়িতে তৈরি করে ফেলেছে। এখানে এসে তৈরি করছে ভারতের পতাকা। প্রশিক্ষক এসে বাহবাও দিয়ে গেলেন তাকে। ঈশিকা বলে, ‘আমি বাড়িতে এরকম কাজ আগে করেছি। মাটি দিয়ে এগুলো করতে খুব ভালো লাগে। এখানে স্যারেরা আরও ভালো করে শিখিয়ে দিচ্ছেন।’ শুধু কর্মশালা নয় এদিন টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ দেখারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে সকাল থেকে মেঘলা থাকায় মাঝেমধ্যেই সূর্য দেখতে অসুবিধা হয়েছে শিশুদের। কিন্তু তাতেও ওদের উত্সাহে এতটুকুও খামতি দেখা যায়নি। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)