• ‘যাঁদের জন্য চাকরি গিয়েছে, সেই নাটের গুরুরাই যদি…’, চাকরিহারাদের কী বার্তা মমতার?
    এই সময় | ১৯ মে ২০২৫
  • বিকাশ ভবনের সামনে এখনও বসে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এ বার তাঁদের এই পদক্ষেপ নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সোমবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হয়েছেন তিনি। তার আগে আন্দোলনরত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে দিলেন বিশেষ বার্তা।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়?

    এ দিন তিনি বলেন, ‘ওঁদের প্রতি আমার যথেষ্ট সমবেদনা রয়েছে, থাকবেও। আমি মিটিং করে বলেছিলাম আমরা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করব। আমাদের আইন মেনে চলতে হয়। একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। আমাদের তরফে আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তা যদি গ্রাহ্য হয় ভালো। আমি চাইব ওঁদের চাকরি থাকুক। তবে আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আমি বলতে পারি না, তা মানব না। কারণ তা মানতে আমরা বাধ্য।’

    এর পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার একটা জিনিস খারাপ লাগছে। যাঁরা উস্কানি দিচ্ছেন, তাঁরাই কিন্তু ওঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। চাকরিগুলো আমাদের জন্য যায়নি। যাঁদের জন্য গিয়েছে, তাঁদের বলব এটা না করলেই পারতেন। চাকরিগুলো যাঁদের জন্য গিয়েছে সেই নাটের গুরুরাই যদি আজকে তাঁদের স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায়, সেখানে আমার আপত্তি রয়েছে।’ আন্দোলনকারীদের রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

    তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ওঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। শিক্ষকদের থেকে আমরা ন্যূনতম সৌজন্য প্রত্যাশা করি। তাঁরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে সমাজের সেবা করুন, বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। আমার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তবে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যায় না। এ ক্ষেত্রে বাইরের লোকের সংখ্যা বেশি, শিক্ষকের সংখ্যা কম। মনে রাখতে হবে আগে মানবিকতা। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে নই। কিন্তু আন্দোলনের লক্ষ্মণ রেখা রয়েছে। আপনারা আইনি লড়াই করুন। আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব। আমরা এখনও আইনি লড়াই লড়ছি। তবে কোনও রাজনৈতিক দল যদি ভাবে জলঘোলা করবে, সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন থাকবে, আপনারাই তো আদালতে গিয়েছিলেন।’

  • Link to this news (এই সময়)