বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধর্না আজ, সোমবার ১৩ দিনে পড়ল। গত বৃহস্পতিবার আন্দোলন হিংসাত্মক চেহারা নেওয়ার পর সেই নিয়ে জল গড়িয়েছে বহুদূর। আন্দোলন নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের এ বার বিশেষ বার্তা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ, আন্দোলন কখনও হিংসাত্মক হয় না।’
সোমবার দিল্লি রওনা হওয়ার পথে বিমান বন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু ফুটেজ দেখেছি, তবে আমি কাউকে দায়ী করছি না। দেখেছি জোর জবরদস্তি গেট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তবে এটা বলব, আন্দোলন যেন কোনও ভাবে বলপ্রয়োগ করে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে কিংবা গেট ভেঙে যেন না হয়।’ তৃণমূল সাংসদের মতে, এমন ঘটনা ঘটলে তা আন্দোলনের এসেন্স অর্থাৎ যৌক্তিকতাকে নষ্ট করে দেয়।
আন্দোলনের রূপ প্রসঙ্গে অভিষেক দিল্লিতে বাংলার শ্রমিকদের জন্য তৃণমূলের প্রতিবাদের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরাও দিল্লিতে বাংলার শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের সঙ্গে যা হয়েছিল তার প্রতিবাদ আমরা রাজভবনের সামনে এসে শান্তিপূর্ণভাবে জানিয়েছিলাম। মহিলা প্রতিনিধিদের চুলের মুঠি ধরে সেই দিন দিল্লি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। তবু আমরা অহিংসার পথ অবলম্বন করে আন্দোলন করেছিলাম।’
এখানেই শেষ নয়, চাকরিহারাদের আন্দোলন সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও ভাবে তাঁদের আন্দোলন ছোট করছি না। সে ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি কোনও ভাবে চাই না এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রঙে রাঙানো হোক। তবে আন্দোলন যেন কখনও উগ্র হয় না।’
চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল সাংসদ। সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার তো নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা রিট পিটিশন ফাইল করেছি। মামলা তো এখন বিচারাধীন। বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা রাখুন। আজ না হয় কাল, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিচার হবেই।’