মর্মান্তিক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ৩ আরোহীর। মৃতদের নাম রবিন সোরেন, ফকির সোরেন ও লক্ষ্মীকান্ত মান্ডি। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। দুর্ঘটনা ঘটে রবিবার গভীর রাতে বাঁকুড়ার রাইপুর থানা এলাকায়। রাইপুর থানার পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রবিন সোরেন ও ফকির সোরেনের। পুলিশ আহত অবস্থায় লক্ষ্মীকান্ত মান্ডিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে ওই তিন যুবক মোটরবাইকে চেপে বাঁকুড়ার কদমা থেকে সোনাগাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ঢেঙাম বড়তলা সংলগ্ন এলাকায় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে রাস্তার ধারের গাছে। সোমবার তিনজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
খাতড়া মহকুমা পুলিশ আধাকারিক অভিষেক যাদব বলেন, ‘বাঁকুড়ার তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
অন্য একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে সোমবার সোদপুর রোডের এপিসি কলেজের সামনে। সেখানে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক বৃদ্ধ মারা যান। তাঁর নাম বিল্বেশ্বর সাহা (৮০)। তিনি নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। তিনি এ দিন সকালে বাজারে গিয়েছিলেন। বাসের চাকায় পদপিষ্ট হন। নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, যে বাসে চাকায় ওই ব্যক্তি পিষ্ট হন,তা মধ্যমগ্রাম-হাওড়া রুটের। বৃদ্ধ রাস্তার ধার দিয়েই হাঁটছিলেন। আচমকা অন্য বাসের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়ে তাঁকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা হাওড়াগামী বাসটি। ওই বাসের চালক পলাতক। পুলিশ চালককে খুঁজছে।
রবিবার রাতে নবদ্বীপেও একটি দুর্ঘটনায় এক যুবক মারা যান। গৌরাঙ্গ সেতুতে পাট বোঝাই লরির ধাক্কায় বিশ্বজিৎ ঘোষ (৪০) নামে ওই যুবক মারা যান। তাঁর বাড়ি নবদ্বীপ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোলেরডাঙ্গা নেতাজি নগর এলাকায়।