বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না চলছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। প্রায় ৫ দিন ধরে সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। এ নিয়ে এ বার আদালতের দ্বারস্থ স্থানীয় বাসিন্দারা। জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আদালতে। সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেয় আদালত। তবে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন বিচারপতি।
আবেদনকারীর দাবি, এই ধর্নার ফলে পুলিশি নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাত্যহিক জীবনে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিচারপতি সৌমেন সেন জানান, পুলিশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ থেকে থাকলে আপনারা পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে একক বেঞ্চে মামলা দায়ের করুন। এটা কখনওই জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না।
বিচারপতি সৌমেন সেনের পর্যবেক্ষণ, অধিকাংশ জনস্বার্থ মামলা হচ্ছে প্রচারের জন্য। সেখানে জনগণের স্বার্থ থাকে না। তবে শেষ পর্যন্ত মামলাকারীকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় আদালত।
অন্য দিকে আরও একটি মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এ দিন। এসএসসি অফিসের সামনে ধর্নায় থাকা শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ দিকে শিক্ষকনেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনারকে উল্টে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলে হাইকোর্টে জানান মামলাকারী। বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে তাঁদের নোটিস দিয়ে মঙ্গলবার থানায় তলব করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বুধবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।