• ভয়ংকর! ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিতা, খাঁচা পাততেই...
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ মে ২০২৫
  • অরূপ বসাক: কথায় আছে 'যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়',বাঘেদের লোকালয়ে যখন তখন হামলায় তটস্থ গ্রামবাসীরা। বাঘের ভয় তাড়া করে বাড়াচ্ছে তাদের মনে। কখনও ওড়িশা থেকে বাঘ চলে আসছে, কখনওবা নদী সাঁতরে লোকালয়ে ঢুকছে বাঘ। এখন এমন অবস্থা গ্রামেগঞ্জে যখন তখন দেখা মিলতে পারে দক্ষিণরায়ের। তারা বন থেকে বেড়িয়ে একেবারে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে, বনকর্মীরা তাদের ধরতে গেলে থাবা খেতে হচ্ছে তাদের। তাই বাঘের ভয়ে ঘুম উড়ছে এলাকাবাসীর। 

    আমরা যেমন জিপিএস দেখে অচেনা জায়গায় যেতে পারি, বাঘেদের কাছে তো আমাদের মতো এই সুবিধা নেই তাই ওরা যেখানে সেখানে যখন তখন হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়তে। এরই মাঝেই খবর মিলল, ফের মালবাজারের চা বাগানে বাঘের হানা। মালবাজার শহরের পাশ থেকে উদ্ধার হল এক পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘের। 

    চিতাবাঘটি বন দফতরের খাঁচাতে আটকে পড়েছিল। এর আগেও মালবাজারের চা বাগান থেকে চিতাবাঘ উদ্ধার হয়েছে। সেই চিতাবাঘের হানায় আহতও হয়েছিল চা বাগানের দুই জন চা শ্রমিক। 

    তবে এইবারে বন দফতরের খাঁচাতে আটকে পড়েছে এক পূর্ণবয়স্ক চিতা বাঘ। মালবাজার শহরের পাশে নিউ গ্লেনকো চা বাগানে ১৮ নম্বর সেকশনে খাঁচা বন্দী হল একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। এদিন সকালে চিতা বাঘটিকে উদ্ধার করে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছে। এই চাবাগানে বেশ কিছুদিন যাবত চিতাবাঘ এর উপদ্রব লেগেই ছিলো। 

    এরপর কিছুদিন আগেই বনদফতর খাঁচা পাতে। আর এতেই বাগে আসে বাঘ। এদিনই খাঁচা বন্দি হয় চিতাবাঘটি। শ্রমিকদের বক্তব্য বাগানে আরও চিতাবাঘ আছে। তাই আবার খাঁচা পাতুক বনদফতর। 

    মালবাজারে স্বস্তি নেই। একের পর এক ঘটনা- কখনও হাতি, কখনও চিতা, কখনও কিং কোবরা। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। হয় হাতি, নয় লেপার্ড, নয় সাপের ঝক্কি তো লেগেই থাকে এখানে। কিছুদিন আগেই খবর মিলেছিল সাপের হানার। কিংকোবরা পাওয়া গিয়েছিল এলাকা থেকে। 

    পর পর বেশ কয়েকদিন ধরে কখনও কিংকোবরা কখনও অজগর মালবাজারের একটি রিসোর্টের ঝোপ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। এরই মধ্যেই আবার এক উন্মত্ত ষাঁড়ের ঢুকে পড়ে এলাকায়। এলাকার মানুষদের দাবি তাঁরা রীতিমতো ভয়ে ভয়ে থাকে সবসময়। কখন যে কী হয়, এই দুশ্চিন্তায় তাঁদের প্রহর কাটে। ফের মালবাজার থেকে চিতাবাঘ উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)